ফল প্রকাশের আগেই ভোলায় ৪৬ কলেজে একাদশে ভর্তি শুরু
ফল প্রকাশ না হওয়ার পরও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভোলায় ৪৬টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করে নির্দিষ্ট সময়ে ফল প্রকাশ না করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
রোববার জেলার বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীদের ভিড় করতে দেখা যায়। অনেকে কাঙ্খিত কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পড়ে দুপুর থেকে শেষ পর্যন্ত ক্ষোভ সামাল দিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে নামদামী ৪৬ কলেজ। ট্রান্সক্রিপ্ট ও টাকা জমা নিয়ে ম্যানুয়ালি ভর্তি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম জানান, তার কলেজে ভর্তির আবেদন পড়েছে সাড়ে ৯শ। শুক্রবার অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ করার কথা ছিল। সফটওয়ার বিপর্যয়ে রোববার বিকেল পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা এ বিলম্ব মানতে নারাজ। তারা ভর্তির জন্য চাপ সৃস্টি করতে থাকে। এ কারণে প্রথম পর্যায়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়।
একই অবস্থার কথা জানান চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ দুলাল। ওই কলেজ থেকে ভর্তির আবেদন পড়ে এক হাজার। এরাও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ভর্তির প্রথম সুযোগ দেন বলে জানা গেছে। তবে এসব ভর্তি ম্যানুয়ালি করা হচ্ছে। অনলাইনে আবেদনের ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর অন-লাইনে ভর্তি সম্পন্ন হবে বলে জানান অধ্যক্ষরা।
ভোলা সরকারি কলেজেও ভর্তির জন্য ভিড়জমান শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে বোরহানউদ্দিন আব্দুর জব্বার কলেজের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ভর্তির জন্য চাপ সৃস্টি করা হচ্ছে বলে বেশ কিছু জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে। এমন অভিযোগ জেলা উপজেলা পর্যায়ের একাধিক কলেজের বিরুদ্ধে রয়েছে। তবে জেলার ৪৬ কলেজের মধ্যে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের অধিকাংশ কলেজ অনলাইনে ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় না থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫সহ এ গ্রেড প্রাপ্তদের ম্যানুয়ালি ভর্তি করেছেন বলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষগণ স্বীকার করেছেন।
এমএএস/আরআই