সরকারি মেডিকেলে ভর্তি : প্রতি আসনে লড়বেন ২৫ জন
দেশের সরকারি-বেসরকারি ১০০ মেডিকেল কলেজে (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের সময়সীমা শেষ হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। ইতোমধ্যে আবেদনকারীদের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। শেষ মুহূর্তে এ সংখ্যা ক্রমশই কমছে।
শুরুর দু-তিনদিনে প্রায় অর্ধলাখ আবেদন জমা পড়লেও বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচশ আবেদন জমা পড়ছে। এ হিসেবে শেষ পর্যন্ত সরকারি ৩১টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রতি আসনের বিপরীতে ২৫ জনের মতো শিক্ষার্থীকে লড়াই করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে। এ সময়ের মধ্যে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
এক ঘণ্টার এ পরীক্ষায় জীববিদ্যা- ৩০, রসায়ন- ২৫, পদার্থবিদ্যা- ২০, ইংরেজি- ১৫, সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি- ৬ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে ৪ নম্বর থাকবে। পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বুধবার দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আগামী তিনদিনে গড়ে তিন থেকে চারশ কিংবা এর চেয়ে কম আবেদন জমা পড়তে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিনেই রাজধানীর পাঁচটি সরকারি মেডিকেল কলেজ- ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার নির্ধারিত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর আসন পূর্ণ হয়।
ঢাকা মেডিকেলে নয় হাজার ৯৯৯টি, মিটফোর্ড মেডিকেলে সাত হাজার, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে সাত হাজার, মুগদায় পাঁচ হাজার এবং ডেন্টালে ছয় হাজার আবেদন জমা পড়ে। ৩১টি সরকারি মেডিকেলের মধ্যে সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। এখানে এখন পর্যন্ত আবেদনকারীর সংখ্যা পাঁচশও হয়নি।
বর্তমানে দেশে সরকারি ৩১টি ও বেসরকারি ৬৯টিসহ মোট ১০০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এগুলোতে মোট আসন সংখ্যা নয় হাজার ৫৬৮টি। এর মধ্যে সরকারিতে তিন হাজার ৩১৮ এবং বেসরকারিতে ছয় হাজার ২৫০টি আসন রয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মো. আবদুর রশীদ বলেন, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কোচিং সেন্টারগুলো খোলা রাখা হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে র্যা ব, ডিবি, সিআইডি ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটিতে সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, নাইমুল ইসলাম খান, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ড. জাফর ইকবাল, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএ’র বর্তমান ও সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান প্রমুখ রয়েছেন।
এমইউ/এমএমজেড/এমএআর/এমএস