এমবিবিএসে ভর্তি : আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে) এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। চলবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগ পর্যন্ত মোট ৭৫ হাজার ৩২৮ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো.আবদুর রশীদ মঙ্গলবার জাগো নিউজকে জানান, চলতি বছর আবেদনকারীর মোট সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার হতে পারে।
তিনি জানান, আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ৩১টি ও বেসরকারি ৬৯টিসহ মোট ১০০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। মোট আসন সংখ্যা নয় হাজার ৫৬৮টি। এর মধ্যে সরকারিতে তিন হাজার ৩১৮ ও বেসরকারিতে ছয় হাজার ২৫০টি আসন রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছরই অনলাইনে আবেদন গ্রহণের শুরুর প্রথম ২/১ দিনেই বেশি আবেদন জমা পড়ে। প্রায় সবাই ঢাকার মেডিকেল কলেজগুলো থেকে পরীক্ষা দিতে চাওয়ায় এমনটি হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অনলাইনে আবেদনের প্রথম দিনই প্রায় অর্ধ লাখ আবেদন জমা পড়ে।
প্রথম দিনেই রাজধানীর পাঁচটি সরকারি মেডিকেল কলেজ- ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার নির্ধারিত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর আসন পূর্ণ হয়।
ঢাকা মেডিকেলে নয় হাজার ৯৯৯টি, মিটফোর্ড মেডিকেলে সাত হাজার, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে সাত হাজার, মুগদায় পাঁচ হাজার ও ডেন্টালে ছয় হাজার আবেদন জমা পড়ে।
আগামী ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষায় জীববিদ্যা-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থবিদ্যা-২০, ইংরেজি-১৫, সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ৬ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে ৪ নম্বর থাকবে। পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০১৪ বা ২০১৫ সালে এসএসসি ও ২০১৬ বা ২০১৭ সালে এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যাসহ পাস করেছেন এমন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে ২০১৪ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছেন তারা আবেদন করতে পারবেন না।
আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি ও এইচএসসি ও সমমানের দুটি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৯ থাকতে হবে। উপজাতি ও পার্বত্য উপজেলায় বসবাসকারী অ-উপজাতিদের জন্য জিপিএ-৮ থাকতে হবে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পৃথকভাবে জিপিএ ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি কোচিং বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
২১ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-১ অধিশাখার উপ-সচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এমইউ/এমএআর/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
- ২ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পে ধীরগতি, ত্রিপক্ষীয় সভা করবে ইউজিসি
- ৩ চাকরির বয়স দুই বছর না হলে মাদরাসা শিক্ষকের বদলির সুযোগ নেই
- ৪ পাঠ্যবই ছাপাতে পাল্টা পদক্ষেপ এনসিটিবির, বেঁধে দিলো সময়সীমা
- ৫ ২৫ মার্চের আগে বই ছাপা সম্ভব নয় জানিয়ে চিঠি, পরক্ষণে চাইলেন ক্ষমা