প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন পিএসসির সুপারিশকৃত ৮৯৮ জন
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে শিগগিরই নিয়োগ পাচ্ছেন পিএসসির সুপারিশকৃত ৮৯৮ জন। প্রথমবারের মতো আগামী সপ্তাহ থেকে নন-ক্যাডার পদের এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে এবং দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে পিএসসির সুপারিশকৃতদের মধ্য থেকে প্রথমবারের মত ৮৯৮ জনকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপিই।
এর আগে ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮৯৮ জনকে গত বছরের ১০ আগস্ট নন-ক্যাডার হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)।
ডিপিই মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, পিএসসির সুপারিশ করা ব্যক্তিদের প্রধান শিক্ষকের পদে আগামী দুই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেয়া হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সেখানে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। সে লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
ডিপিই মহাপরিচালক বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী ১১-১২ গ্রেডে নিয়োগ পাবেন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ পিএসসির সুপারিশে এবং ৪০ শতাংশ শিক্ষকতার জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সারাদেশের শূন্যপদ পূরণ করা হবে। পাশাপাশি একই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।
এমএইচএম/জেডএ/ওআর/আরএস/পিআর