ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

সরকারি মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষকদের আন্দোলনের ডাক

মুরাদ হুসাইন | প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭

টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলনে নামছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলনে নামবেন তারা। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

সংগঠনটি বলছে, গত ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) সভায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের সহকারী শিক্ষকদের প্রথম ও দ্বিতীয় টাইমস্কেল প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি মঞ্জুরির আদেশ জারি না হওয়ায় সমিতি অত্যন্ত মর্মাহত। একই সঙ্গে ১৯৯১ ব্যাচের পদোন্নতি জটিলতার নিরসনে কার্যকর উদ্যোগও নেয়া হয়নি।

এ দাবিতে সংঠনটি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রতিটি সরকারি স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে দাবিসম্বলিত ব্যানার টানানো, ২৭ সেপ্টেম্বর একযোগে দেশের ৬৪টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিষয়ে প্রত্যাশিত সমাধান না আসলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ইনছান আলী বলেন, আঞ্চলিক ও মহানগর কমিটির এক যৌথসভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুল অডিটোরিয়ামে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ইনছান আলী বলেন, শিক্ষকদের অধিকার ও দাবির বিষয়ে সরকার আন্তরিক। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দিতে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডিপিসির সভা হয়। এতে বিভিন্ন ব্যাচের সহকারী শিক্ষকদের ১২ বছর পূর্তিতে দ্বিতীয় টাইমস্কেল হিসেবে সপ্তম গ্রেড, আর আট বছর পূর্তিতে প্রথম টাইমস্কেল হিসেবে অষ্টম গ্রেড প্রদানে ডিপিসি সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দেড় মাসের মতো সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সরকারি মঞ্জুরি আদেশ জারি করা হয়নি।

তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও অসহযোগিতার কারণে ডিপিসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষকরা এখনও তাদের প্রাপ্য টাইমস্কেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে সরকারের অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

‘আমরা আশা করছি সরকার দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

এছাড়া সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সহকারী শিক্ষকদের সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারসহ প্রায় ৫২০টি শূন্যপদে পদোন্নতি, সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা) পদোন্নতি, সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা হতে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং সিনিয়র শিক্ষক হতে উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়নের দাবি জানায় সংগঠনটি।

এমএইচএম/জেডএ/এমএআর/বিএ

আরও পড়ুন