ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

৩৮তম বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০১৭

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার অাবেদনে। এবার সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। আবেদনের এখনও দুইদিন সময় বাকি আছে। এরই মধ্যে অন্য সববারের চেয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত আগেই সব রেকর্ড ভেঙে ২ লাখ ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ার রেকর্ডটি ছিল ৩৭তম বিসিএসে। ৩৭তমে এর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার।

পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক জাগো নিউজকে বলেন, পিএসসির সব কার্যক্রমের গতি অনেক বেড়ে গেছে। নিয়োগের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই চাকরি প্রত্যাশীরা স্বতঃফূর্তভাবে আবেদন করতে উৎসাহ পাচ্ছেন। এ কারণে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পিএসসির সূত্র জানায়, গত ১০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার অনলাইন আবেদন। আবেদন কার্যক্রম শেষ হবে চলতি মাসের ১০ তারিখ। সে অনুযায়ী আবেদন শেষ হতে আরও দুদিন বাকি রয়েছে। প্রথম দিনেই এক হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়। আজ রাত ৮টা পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, ৩৮-তম বিসিএসের আবেদনে সব পরীক্ষার আবেদনকারীর রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। এর আগে ৩৭তম বিসিএসে ছিল সর্বোচ্চ আবেদনকারীর সংখ্যা। দুদিন বাকি থাকতে সে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রায় ৩ লাখ আবেদনকারী হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।

পিএসসির সূত্র জানায়, ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অক্টোবর মাসে হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন দুই হাজার ২৪টি শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ করতে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে (পিএসসি)। এবারই প্রথম লিখিত পরীক্ষায় দুজন পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হবে। ২০ শতাংশের বেশি পার্থক্য দেখা দিলে তা পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে।

৩৮ বিসিএসে প্রশাসনে ৩০০টি, পুলিশে ১০০টি এবং পররাষ্ট্রে ১৭টি সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে (সরকারি সাধারণ কলেজ ও সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ) মোট ৯৫৫টি পদ রয়েছে।

৩৮তম থেকে অনলাইন আবেদনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংযোজন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া লিখিতের সিলেবাসে বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৫০ নম্বরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর প্রশ্ন করা হবে বাংলা ও ইংরেজিতে।

এমএইচএম/জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন