ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৭

জাতীয়করণ থেকে বাদপড়া সারাদেশের বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনের শিক্ষক নেতারা এ দাবি জানান। এ সময় সারাদেশ থেকে আসা অন্তত পাঁচ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল বলেন, ‘২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু তৃতীয় ধাপে উপজেলা ও জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত বিদ্যালয়গুলো বাদ দিয়ে চলতি বছরের ২৩ মার্চ ৩০৩টি অযোগ্য বিদ্যালয়ের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ইতোপূর্বে ইউএনডিপি পরিচালিত ২১০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণের বাহিরে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ ও কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স জাতীয়করণ কমিটি সরকারিভাবে যাচাই-বাছাই করা হলেও আমাদের বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। ফলে সারাদেশে যাচাই-বাছাই করা ১ হাজার ৩০০ বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ৯৬০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত ছিল। তদন্তের মাধ্যমে ৫৩৩টি বিদ্যালয় তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ করা হয়। এরপর আরও ৩১১টি অযোগ্য স্কুল রাতারাতি জাতীয়করণ করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে কর্মরত শিক্ষকদের বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য জাতীয়করণ যোগ্য যাচাই-বাছাই সমাপ্তকৃত বিদ্যালয়সহ বাদপড়া বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. ছালেহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আলহাজ মো. মনছুর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, মহিলা সম্পাদিকা মঞ্জুয়ারা বেগম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মো. কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুল আলম প্রমুখ।

এএস/এমআরএম/এমএস

আরও পড়ুন