ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

দুই কারণে কুমিল্লায় ফল বিপর্যয়

মুরাদ হুসাইন | প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৭

দুই কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে ধস নেমেছে। দক্ষ শিক্ষক সংকট ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজন করায় এবার পাসের হার কমেছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

যদিও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কুমিল্লা বোর্ডের ফল বিপর্যয়ের ভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতিতে ফল মূল্যায়ন করায় এসএসসির মতো এইচএসসিতেও ফল খারাপ হয়েছে।

কুমিল্লা বোর্ড চেয়ারম্যান জাগো নিউজকে বলেন, বোর্ডের আওতায় শহরের কলেজ ছাড়া মফস্বল পর্যায়ে অধিকাংশ কলেজে দক্ষ ও ভালো মানের শিক্ষক সংকট রয়েছে। এ কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ৩০ শতাংশের মতো ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগের ফলে। তাই কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে।

রোববার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ফল মূল্যায়নে সাধারণ আট বোর্ডে সবচেয়ে পিছিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। দেখা গেছে, চলতি বছর এ বোর্ডে মোট এক লাখ ৩৭২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২০ হাজার ১৬৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১৪ হাজার ৬৬৩ জন, জিপিএ-৫ ৫৫৭ জন। মানবিকে ৪২ হাজার ৩৯৩ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন ১৬ হাজার ২৭২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছের ৩৯ জন এবং বাণিজ্যে ৩৭ হাজার ৮১৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১৮ হাজার ৭৬৯ জন, জিপিএ-৫ পয়েছেন ৮২ জন শিক্ষার্থী।

গত পাঁচ বছরের কুমিল্লা বোর্ডের এইচএসসি ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬১.৪১ শতাংশ, ২০১৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭০.১৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৫৯.৮০ শতাংশ, ১৬ সালে তা বেড়ে হয় ৬৪.৪৯ শতাংশ এবং চলতি বছর সব রেকর্ডের পতন হয়ে তা ৪৯.৫২ শতাংশে নেমে এসেছে।

এছাড়াও গত পাঁচ বছরে কুমিল্লা বোর্ডে শতভাগ ফেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা একটি না থাকলেও এবার তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে।

এসব বিষয়ে কুমিল্লা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক বলেন, কুমিল্লা বোর্ডের আওতাভুক্ত সদরের কলেজগুলোতে ফল ভালো হয়েছে। বিভিন্ন কারণে গ্রামের কলেজগুলোর ফল খারাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, ফল খারাপের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সমস্যাগুলো উৎঘাটন করার পর তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

এমএইচএম/বিএ/আরআইপি

আরও পড়ুন