জিপিএ- ৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছেলেরা, পাসে মেয়েরা
উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ- ৫ পেয়েছিলেন ৫৮ হাজার ২৭৬ শিক্ষার্থী।
এবার জিপিএ- ৫ প্রাপ্তিতে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছেন। ২০ হাজার ৫৩৫ ছেলে শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়েছেন। মেয়েদের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৩৪। তবে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছেন। মেয়েদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৩ আর ছেলেদের ৬৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে ২০ হাজার ৩০৭ জন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা বের্ডের চেয়ারম্যানরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রী। বেলা দেড়টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে আট হাজার ৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষা শরু হয় ২ এপ্রিল। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫ মে।
সবকটি বোর্ডে পাস করেছেন আট লাখ এক হাজার ৭১১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে আট সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, জিপিএ পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৪২ জন। যা গত বছর ছিল সাত লাখ ২৯ হাজার ৮০৩ এবং জিপিএ- ৫ পেয়েছিলেন ৪৮ হাজার ৯৫০ জন।
সাধারণ আট বের্ডে পাশের হারে এগিয়ে সিলেট বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭২ শতাংশ, পাস করেছেন ৪৬ হাজার ৭৯৭ জন এবং জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৭০০ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে বরিশাল বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ২৮ শতাংশ, পাস করেছেন ৪৩ হাজার ৫০৭ জন, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৮১৫ জন। তৃতীয় অবস্থানে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ, পাস করেছেন ৮৬ হাজার ৮৭২ জন, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৯৭ জন। চতুর্থ অবস্থানে যশোর বোর্ড। পাসের হার ৭০ দশমিক ০২ শতাংশ, পাস করেছেন ৬৭ হাজার ২ জন। পঞ্চম স্থানে ঢাকা বোর্ড। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, পাস করেছেন দুই লাখ ৩২ হাজার ৭৪১ জন, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৩০ জন। ষষ্ঠ অবস্থানে দিনাজপুর বোর্ড। পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, পাস করেছেন ৬৮ হাজার ৯৭২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৯৮৭ জন। সপ্তম অবস্থানে চট্টগ্রাম বোর্ড। পাসের হার ৬১ দশমিক ০৯ শতাংশ, পাস করেছেন ৫০ হাজার ৩৪৭ জন, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন এক হাজার ৩৯১ জন। অষ্টম অবস্থানে কুমিল্লা বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৭০৪ জন, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৬৭৮ জন।
মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ০২ শতাংশ। পাস করেছেন ৭৪ হাজার ৫৬১ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছেন এক হাজার ৮১৫ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। পাস করেছেন ৭৪ হাজার ৫৬১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ণ করায় পাসের হার কমেছে। খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে- এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল।
তিনি বলেন, চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হারের দিক দিয়ে ছাত্ররা জিপিএ- ৫ বেশি পেয়েছেন। ২০ হাজার ৫৩৫ ছেলে শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়েছেন। মেয়েদের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৩৪ জন। তবে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছেন। মেয়েদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৩ আর ছেলেদের ৬৭ দশমিক ৬১শতাংশ।
কেউ পাস করেননি- এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার ৭২টি। গত বছর ২৫টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছিলেন। এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৩২টি, গত বছর যা ছিল ৮৪৮টি।
এমএইচএম/এমএআর/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে ২৪ বিশ্ববিদালয়ের ভিসিকে জরুরি নির্দেশনা
- ২ শনিবারও বন্ধ থাকবে স্কুল, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই বহাল
- ৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালে ছুটি ৭৬ দিন, তালিকা প্রকাশ
- ৪ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুনে, বার্ষিক নভেম্বরে
- ৫ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক