কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
২০১৭ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। ১০টি বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কম ।
গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৫৮ হাজার ২৭৬ জন।
মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবনে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।এ সময় এই তথ্য জানান মন্ত্রী।
এবার কারিগরিতে পাস ৮১.৩৩ শতাংশ, ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৬.৮৪ শতাংশ এবং মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭.০২ শতাংশ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শেষে ৫৯ দিনের মাথায় এবার ফল প্রকাশ করা হল। মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে।
প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস করেও জানা যাবে ফল। দুপুর দেড়টা থেকে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন।
মোবাইলে ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
মাদরাসা বোর্ডের আলিমের ক্ষেত্রে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন। এবার একজন শিক্ষার্থী সৃজনশীল, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে কত নম্বর পেলেন, তাও আলাদাভাবে অনলাইনে দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫ মে।
এআরএস/এমএস