ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

রাজশাহীর ১১ কলেজে পরীক্ষার্থী ২৯, সবাই ফেল

নিজস্ব প্রতিবেদক | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৬:০৭ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৭

এ বছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ১১ কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল মোট ২৯ জন। এর মধ্যে মাত্র একজন করে শিক্ষার্থী ছিল চার কলেজে। ২৯ পরীক্ষার্থী সবাই ফেল করেছে পরীক্ষায়।

রোববার দুপুরের পর বোর্ডের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার।

২০১৬ সালে শূন্য ফলাফল প্রাপ্ত কলেজ ছিল ৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ৫টি, ২০১৪ সালে ২টি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৪টি করে কলেজ ছিল এই তালিকায়।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর জানিয়েছে, শূন্য পাসের ওই ১১ কলেজের মধ্যে সর্বাধিক আটজন পরীক্ষার্থী ছিল নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে। পাঁচজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাবিপুর কলেজ থেকে।

তিনজন করে পরীক্ষার্থী ছিলো নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিএম ইনস্টিটিউট এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় শিমলা মহিলা কলেজের।

দুজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নেয় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড়বিহানলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাট সদরের হিছমি আদর্শ কলেজ থেকে।

এছাড়া একজন করে পরীক্ষার্থী ছিল নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শিরকলি বন্দর বিদ্যালয় ও কলেজ, নওগাঁর মান্দা উপজেলার পূর্বমান্দা আইডিয়াল কলেজ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার গণকপাড়া বিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাট সদরের ভাদশা আইডিয়াল কলেজ থেকে।

কেবল শূন্য পাস কলেজের সংখ্যাই বাড়েনি, বেড়েছে ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যাও।

এ বছর এমন রয়েছে ১৩৯টি। গত বছর তা ছিল ১৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ২৬টি, ২০১৪ সালে ১৫টি এবং ২০১৩ সালে ৯টি কলেজ ছিল এ তলিকায়।

এ বছর ৫০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজ রয়েছে ৫৬৯টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ৬১৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ৬২১টি, ২০১৪ সালে ৬১৮টি এবং ২০১৩ সালে ৬০১টি কলেজ ছিল এ তালিকায়।

শূন্য পাস এবং ৫০ শতাংশের নিচে পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এমন কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তাদের কোনো দায় নেই দাবি করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার।

তিনি বলেন, এসব কলেজ শুধুমাত্র প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। ধারাবাহিতভাবে তারা এমন ফলাফল করলে কারণ খুঁজে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে বোর্ড। এরপর মন্ত্রণালয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/এমএস/এমএএস/আরআইপি

আরও পড়ুন