শিক্ষক নিবন্ধনের নিয়োগ বঞ্চিতদের অনশন
চাকরি প্রদানসহ সাত দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা পালন করছেন বেসরকরি শিক্ষক নিবন্ধনের নিয়োগ বঞ্চিতরা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত তিন শতাধিক চাকরি প্রত্যাশী এ আন্দোলনে যোগ দেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বেসরকরি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি) ৬০ হাজার জাল সনদধারীকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু বৈধ সনদ থাকা সত্ত্বেও আমরা নিয়োগ পাচ্ছি না।
তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য আসন থাকলেও ১-১২ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কয়েক লাখ ব্যক্তি চাকরি পাচ্ছেন না। এ কারণে তারা সাত দফা দাবিতে অনশনে নেমেছেন।
তাদের দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে , ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সাকুর্লার বাতিল করে ১-১২তম শিক্ষক নিবন্ধিত সার্টিফিকেটধারী নিয়োগ বঞ্চিতদের নিয়োগের ব্যবস্থা, নিয়োগবঞ্চিত ১-১২ শিক্ষক নিবন্ধিত সার্টিফিকেটধারীদের বাংলাদেশের যেকোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় মেধা তালিকা করে অবিলম্বে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ প্রদান, উপজেলা কোটা বাতিল, ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের চাকরিচ্যুত, বেসরকারি শিক্ষক ও প্রভাষকের শূন্য পদ প্রকাশ করে বৈধ্য নিবন্ধিতদের নিয়োগ, পিক এন্ড চুজ পদ্ধতিতে নিয়োগ বন্ধসহ নিবন্ধন সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদকরণ বাতিল করা।
দাবি আদায়ে নানা শ্লোগানে তৈরি ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট হাতে নিয়ে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় শুয়ে অনশন পালন করছেন।
বাংলাদেশ বেসরকরি শিক্ষক নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত জাতীয় ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দাবি আদায়ে আজ দেশের ৬৪ জেলার চাকরি বঞ্চিতরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এনটিআরসিএকে নিবন্ধিত চাকরি প্রত্যাশীদের নিয়োগ প্রদান করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তী কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী ২৯ জুলাই থেকে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে নিবন্ধিতরা রাস্তায় নেমে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন।
এমএইচএম/এআরএস/এমএস