একাদশে ভর্তিতে গড়ে ৫ কলেজে আবেদন
একাদশে ভর্তির আবেদন শেষ হয়েছে। সারাদেশে মোট ১৫ লাখ ৫ হাজার আবেদন জমা হয়েছে। আসন অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী গড়ে পাঁচটি কলেজে আবেদন করেছে। শনিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় শেষ হয় একাদশ শ্রেণির ভর্তি আবেদন কার্যক্রম। সারাদেশে অনলাইনে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৫৫ হাজার। এসএমএসে আবেদন করেছে তিন লাখ ৫০ হাজার জন। সারাদেশে কলেজ অনুযায়ী আবেদনের সংখ্যা ৬২ লাখ ৫০ হাজার। তবে এবার সর্বোচ্চ ১০ কলেজে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছিল। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের বেশি আবেদনের সুযোগ থাকলেও তারা প্রতিবছর কম সংখ্যক কলেজ বেছে নেয়।
এতে দেখা যায়, অনেকেরই প্রথম পর্যায়ে কলেজ নির্বাচনের সুযোগ থাকে না। কারণ মেধাবীদের সবার পছন্দ প্রায় একই। অথচ নামিদামি কলেজে আসন খুবই কম। তাই এবার ১০ কলেজে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এবারও শিক্ষার্থীরা গড়ে পাঁচ কলেজে আবেদন করেছে। ফলে প্রথম পর্যায়েই সবার কলেজ নির্বাচন করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে বোর্ড কর্মকর্তারা।
জানা যায়, এবারের আবেদন থেকে এরই মধ্যে শিক্ষা বোর্ডগুলোর আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৮০ টাকা। নির্বাচিত হওয়ার পর কলেজ নিশ্চয়ন বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীকে ১৮৫ টাকা করে ফি দিতে হবে। এতে বোর্ডগুলোকে আরও দিতে হবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। ফলে ভর্তি ও নিশ্চয়ন থেকেই আয় হবে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
অনলাইন আবেদনে ফি বরাদ্দ ছিল ১৫০ টাকা। আর এসএমএসে প্রতি কলেজের জন্য ফি ১২০ টাকা করে। ফলে অনলাইনে মাত্র ১৫০ টাকায় ১০ কলেজে আবেদন করা গেলেও এসএমএসে ১০ কলেজে আবেদনের জন্য লেগেছে ১২০০ টাকা। অনেক অভিভাবকই এসএমএসে আবেদনে এত টাকা লাগায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ গ্রামগঞ্জে যেখানে ইন্টারনেট সুবিধা অপ্রতুল সেখানকার শিক্ষার্থীরা এসএমএসেই বেশি আবেদন করেছে। অনলাইনের তুলনায় এবার এসএমএসেও আবেদনের সংখ্যা কম নয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন বলেন, আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। এখন মেধাক্রমে আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কলেজ নির্বাচন করা হবে। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর পুনর্নিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন হবে, তারা ৩০ ও ৩১ মে আবারও তাদের আবেদনে পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজ নির্বাচন করে দেয়া হবে। ৫ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৬ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ১৮৫ টাকা ফি’র বিনিময়ে কলেজ নিশ্চয়ন করতে হবে। এরপর মাইগ্রেশনের আবেদন এবং নতুন আবেদন করা যাবে ৯ থেকে ১০ জুন।
তিনি আরও বলেন, ১৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল দেয়া হবে। তাদের ১৪ ও ১৫ জুন কলেজ নিশ্চয়ন করতে হবে। এরপর আবার মাইগ্রেশন ও নতুন আবেদন করা যাবে ১৬ ও ১৭ জুন। তৃতীয় পর্যায়ে ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জুন। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে মোট ৯ হাজার ৮৩টি কলেজ রয়েছে। যেখানে ২৮ লাখ ৬২ হাজার ৯টি আসন রয়েছে। আর ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন।
এমএইচএম/এমআরএম/ওআর/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাইকে শোকজ
- ২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ৩ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৪ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৫ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ