ইউজিসিতে হবে ডিজিটাল লাইব্রেরি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) ডিজিটাল লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার ‘ডিজিটাল লাইব্রেরি ইউজার ট্রেইনিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করে ইউজিসি। টেইলর অ্যান্ড ফ্র্যান্সিস গ্রুপের সহায়তায় ইউজিসির অডিটরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বিশেষ অতিথি ইউজিসির সচিব ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা, এনডিসি, প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মাহমুদুল ইসলাম, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক খন্দকার হামিদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মান্নান বলেন, দেশে বর্তমানে ১৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩২ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, হেকেপ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক থেকে সরকার ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থ সাহায্য গ্রহণ করেছে। হেকেপ প্রকল্পের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে ডিজিটাল লাইব্রেরি। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য দেশের উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটাইজেশনে অন্তর্ভুক্ত করে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সংযোগ সাধন করা ও জনবলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রকল্পের অর্থ যথাযথ ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানান।
সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক আখতার হোসেন কর্মশালায় ডিজিটাল লাইব্রেরির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ৭২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরি চালু রয়েছে যেখানে ৩৫ হাজার কনটেন্ট রয়েছে। ডিজিটাল লাইব্রেরিকে ইউজার ফ্রেন্ডলি ও এর ব্যবহার বৃদ্ধি করতে একটি একক প্লাটফর্ম করা হবে।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, মানব সভ্যতা বিকাশে লাইব্রেরির বিকল্প নেই। বিশ্বায়নের যুগে লাইব্রেরির ধারণা পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সরকার ও ইউজিসি ইউনিভার্সিটি ডিজিটাল লাইব্রেরি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
দেশের ৭২টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারিকরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত লাইব্রেরিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/এআরএস/আরআইপি