সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাফল্য ভিকারুননিসায়
দেশের সেরা স্কুলগুলোর তালিকায় সব সময়ই ছিল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে জিপিএ-৫ এ সেরাদের দৌড়ে থাকে স্কুলটি। ব্যতিক্রম নয় এবারও।
বৃহস্পতিবার ফলাফল বোর্ডে টাঙানোর পরপরই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অনেকে আগেভাগেই ইন্টারনেটে ফলাফল দেখে স্কুলে হাজির হয়।
দুপুর দেড়টায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ফলাফল টাঙানোর পর থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের উৎসব। এসএসসিতে এবার ভিকারুননিসায় পাশের হার ৯৯.৯৪ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৫৯৬ জনের মধ্যে একজন বাদে সবাই পাশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ জন।
স্কুলের ফলাফল পেয়েই শুরু হয় শিক্ষার্থীদের উদযাপন। কেউ বাবা-মা, বান্ধবীর সঙ্গে মোবাইলে সেলফি তুলে কেউ আবার নেচে গেয়ে উদযাপন করছিল। বড়বোনদের ভালো ফলাফল উদযাপনে প্রতিবারের মতো এবারও মাঠে ছিল ভিকারুননিসার ব্যান্ড দল। ঢোল বাজিয়ে তারা উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করছিল।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী নওশিন তাসনিম জাগো নিউজকে বলেন, ফলাফলের পেছনে প্রথম অবদান বাবা-মা’র। এরপর স্কুলের। পরীক্ষার আগে ৩ মাস অনেক নিয়ম শৃঙ্খলা পালন করেছি। এরই প্রতিফলন পেলাম আজ।
বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান জাগো নিউজকে বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। প্রথম সারির কলেজে ভর্তি হতে পারলে আনন্দটা আরও দ্বিগুণ হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদযাপনের এবার বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে প্রাণ-ফ্রুটো। এ গরমে স্কুলে আগত সবাইকে বিনামূল্যে প্রাণ-ফ্রুটো দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়। ভিকারুননিসার মাঠে স্থাপন করা হয় সেলেব্রেশন পয়েন্ট।
সব সূচকেই ২০১৬ সালের তুলনায় এবার ভিকারুননিসার ফলাফল ভালো হয়েছে। গতবছর ১ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছিল ৭ জন। পাশের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৫৭ ভাগ।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ মো. সুফিয়া খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের ত্রিমুখী প্রচেষ্টায় বরাবরের মতো এবারও ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করেছে। একজন অনুপস্থিতির কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি। ফলাফলে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ভিকারুননিসার মেয়েরা শুধু পড়াশুনায় নয়, খেলাধুলাসহ নানা বিভাগে ভালো করছে। আশা করছি ভিকারুননিসা সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে।’
এআর/জেএইচ/আরআইপি