অনুমতি পেলেই প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ২০১০ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। চূড়ান্ত নির্দেশনা পেলে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় হস্তক্ষেপ করবে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে এ দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। এটি যথেষ্ট নয় বলে আমরা দুই মন্ত্রণালয় মিলে কাজ করছি।
প্রাথমিক সমাপনী ও বৃত্তি কার্যক্রম কতদিন চলবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কার্যক্রম চলবে বলে নির্দেশনা রয়েছে। তাই যতদিন এ পরীক্ষা চলবে ততদিন বৃত্তি কার্যক্রমও বহাল থাকবে।
ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বৃদ্ধি, সুষম মেধা বিকাশ মূল উদেশ্য উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, এ বছর ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫০০ জন। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে পাবে।
সাধারণ কোটায় ইউনিয়র ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ছয়টি করে বৃত্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্র। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পর অবশিষ্ট বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলায় বা থানায় দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হবে।
প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ হতে তিনটি করে ২৪টি সাধারণ বৃত্তি দেবার পর চারটি সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হবে।
এ বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩২ জন পাস করেছে। ২০১৬ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এদের মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ ও ইবতেদায়িতে পাঁচ হাজার ৯৪৮ জন।
২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়।পরের বছর ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয়।উভয় সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষার পরিবর্তে সমাপনীতে অংশগ্রহণকারীদের মেধা তালিকা করে বৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়।
এমএইচএম/এসআর/পিআর