স্বীকৃতি পাচ্ছে কওমি মাদরাসার সনদ
কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদিন, কওমি মাদরাসার সনদ প্রদানে গঠিত পাঁচ সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক ও মুফতী নূরুল আমীনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে শিক্ষামন্ত্রীসহ উপস্থিত কেউ-ই এ বিষয়ে কথা বলেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত এক সদস্য জানান, সরকার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে এ সভা ডাকা হয়। সভায় স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কওমি মাদরাসার দাবি-দাওয়া নিয়ে আলেমদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আলোচনা করেছেন বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. আফরাজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন ও উন্নয়ন) সভাপতিত্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়।
বৈঠকে দেশের ছয়টি কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি ও মহাসচিবদের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপরই লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৈঠকের জন্যে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন, জামিয়া ইকরার মহাপরিচালক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, বসুন্ধরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আরশাদ রহমানী, চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মা-আরিফের প্রিন্সিপাল মাওলানা সুলতান যওক নদভীকে ডাকা হয়। তবে বৈঠকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/এমএমএ /এএইচ/এমএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
- ২ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পে ধীরগতি, ত্রিপক্ষীয় সভা করবে ইউজিসি
- ৩ চাকরির বয়স দুই বছর না হলে মাদরাসা শিক্ষকের বদলির সুযোগ নেই
- ৪ পাঠ্যবই ছাপাতে পাল্টা পদক্ষেপ এনসিটিবির, বেঁধে দিলো সময়সীমা
- ৫ ২৫ মার্চের আগে বই ছাপা সম্ভব নয় জানিয়ে চিঠি, পরক্ষণে চাইলেন ক্ষমা