নিয়ন্ত্রক জামিন না পাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত
দুর্নীতির দায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গ্রেফতারের পর অনিবার্য কারণ দেখিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের সকল পরীক্ষা স্থগিত করে রোববার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ জানান, আমাদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাহেব যেখানে গ্রেফতার, উনি মূলব্যক্তি পরীক্ষার। পরীক্ষা দেখাশুনা করেন, কারিগরি দিকটা তিনি দেখেন। উনি জামিন বা মুক্তি না হলে আমাদের জিম্মায় পরীক্ষা নেয়া কঠিন।
আমরা আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে এর একটা সমাধান হবে। তখন আবার পরীক্ষার সিডিউল দেয়া হবে। তাই আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে প্রশ্নপত্র ছাঁপানো, বিতরণ, সমন্বয়, মনিটরিং, কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সমস্যা হচ্ছে।
লোকতো আছেই পরীক্ষা শাখায়। কিন্তু তাদের জন্য একজন কর্তা ব্যক্তি থাকে। হঠাৎ করে তো তার রিপ্লেসমেন্ট হয়না।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্থলে অন্যজনকে রিসপ্লেন্টের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, একটা হ্যান্ড তো গড়ে উঠে দীর্ঘদিনের মধ্য দিয়ে। সেটা রিপ্লেস করতে হলে অনেক সময়ের দরকার হয়। আর কিছু কিছু আছে যার কোনো রিপ্লেসসেন্টই হয় না। হঠাৎ করে অন্যজনকে দ্রুত রিপ্লেসমেন্ট করা সম্ভব হয়না। এর জন্য সময় প্রয়োজন।
এদিকে রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অনিবার্য কারণ বশত আগামী ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত ও প্রাইভেট (নতুন সিলেবাস) এমএ, এমএসএস, এমবিএ, এমএসসি, ও এম মিউজ শেষ পর্ব (আইসিটিসহ) পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। কিছুদিনের মধ্যে উল্লিখিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ১৪ মার্চ কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় গ্রেফতারের পর তার তিন সহকর্মী আদালতের মাধ্যমে জামিনে আছেন। ওই মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়।
আমিনুল ইসলাম/ এমএএস/পিআর