ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নর্থ সাউথ
জঙ্গি তৎপরতা দমন করে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে চায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই নতুনভাবে কড়া নিরাপত্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর বাড়তি নজরদারিসহ বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদের সুনাম ধরে রাখা হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
শনিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ স্পিং সেমিস্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।
উপাচার্য বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা জঙ্গি তৎপরতাকে কোনোভাবেই গজিয়ে উঠতে দেবো না। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থানে নতুনভাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রতি আলাদা নজরদারি রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার বাইরে কিছু না হতেই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি অনেক যত্নশীল। তাই সবাইকে মন দিয়ে পড়ালেখা করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে হবে।
তথ্যমতে, ২০১৭ সালের স্প্রিং সেমিস্টারে চারটি অনুষদে ১৬টি বিভাগে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট কোর্সে নতুন দুই সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। একইসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জনকারী ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। মেধাবীদের একটি বড় অংশ নিয়ে নতুন সেমিস্টার শুরুর সাফল্য প্রতিফলিত হয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান হলি অার্টিসান হোটেল, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচিত জঙ্গি হামলার সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে জঙ্গি উসকানিমূলক বিভিন্ন বইয়ের সন্ধান পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিষয়গুলো নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত সুনামে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য বেনজির আহমেদ, এমএ হাশেম, এমএ কাশেম, রেহানা রহমান এবং ইসায়মিন কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/বিএ/আরআইপি