ভিকারুননিসায় বাঁধভাঙা উল্লাস
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী সবার মধ্যেই ছিল ফল নিয়ে উৎকণ্ঠা। তবে দুপুরে সমস্ত উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয় আনন্দের বন্যা। বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৯৯.৪৩ শতাংশ। যেখানে মোট ১ হাজার ৫৬৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ হাজার ৫৫৯ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ১৪০ পরীক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগের ১ হাজার ১০৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৭ জন, মানবিকের ১৬৯ জনের মধ্যে ২৮ জন ও বাণিজ্যিক বিভাগের ২৯৬ জনের মধ্যে ৯৫ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
গত বছর এ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ছিল ৯৮.৩৮ শতাংশ।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় ভালো ফল হয়েছে। যদি প্রথম, দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণ করা হতো তাহলে হয়তো আমরা প্রথম স্থানেই থাকতাম।
শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় এ ফল হয়েছে মন্তব্য করে অধ্যক্ষ বলেন, যে ৯ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশ চলে গেছে। বাকিরা পরীক্ষায় রুটিনের হেরফেরের কারণে ভুল করে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মিম আক্তার বলেন, জিপিএ-৫ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। নোটিশ বোর্ডে জিপিএ-৫ এর তালিকায় যখন নিজের নামটি দেখি, তখন দুই বছরের সকল কষ্ট মুহূর্তের মধ্যে আনন্দে পরিণত হয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী ফাহিমা খাতুন বলেন, দুই বছরের সকল কষ্ট জিপিএ-৫ পাওয়ার মাধ্যমে সফল হয়েছে। আজ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।
জিপিএ-৫ পেয়ে বান্ধবীদের সঙ্গে কলেজ প্রাঙ্গণে যখন উল্লাস করছেন তাবাসসুম, তখন তার আনন্দ খুব কাছ থেকে দেখতে এসেছেন তার মা পারভীন হক।
মেয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক ভালো লাগছে। দুই বছর মেয়ের সঙ্গে আমিও অনেক পরিশ্রম করেছি। আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৬ শিক্ষার্থী।
এবার জিপিএর পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বরও দেওয়া হচ্ছে। ফল প্রকাশে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এবারই প্রথম পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হচ্ছে।
এএস/এএইচ/পিআর