বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মতিঝিল আইডিয়াল
সকাল থেকেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা। কখন তারা পাবেন উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল। অবশেষে বেলা ২টার দিকেই মিলল সেই ফল। ফল শোনার পর উচ্ছ্বসিত মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজ প্রাঙ্গণেই নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকরাও আনন্দ-উৎসবে অংশ নিয়েছেন। নেচে-গেয়ে ও হৈ-হুল্লোড় করে ভালো ফল অর্জনের আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
ফলাফল সম্পর্কে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলেন, আমাদের ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করেছে। তাদের সাফল্যে আমরা সন্তুষ্ট।
এই সাফল্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে আমাদের শিক্ষক ও অভিভাকদের প্রচেষ্টা আর সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের চেষ্টা। তাছাড়া যেসব শিক্ষার্থী দুর্বল ছিল তাদের আলাদাভাবে দেখভালও করা হয়েছে।
মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ থেকে এবার মোট ১ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১ হাজার ৪১৮ জন। ফেল করেছেন ১৬ জন। দুজন অনুপস্থিত ছিলেন। এবার বাণিজ্য বিভাগ থেকে বেশি ফেল করেছে।
বাণিজ্য বিভাগে ফেল বেশি করার কারণ হিসেবে অধ্যক্ষ বলেন, এবার বাংলা ও ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করার কারণে এটি হতে পারে।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া রুমালী জাহান আদিবা বলেন, অভিভাবকদের সহযোগিতায় আর শিক্ষকদের গাইডলাইনে পড়ালেখা করলেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব। আমি সেই প্রত্যাশিত ফল পেয়েছি। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।
জিপিএ-৫ পাওয়া এক ছাত্রীর মা জাগো নিউজকে বলেন, আজ আমাদের যে কত আনন্দের দিন তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। মেয়ের ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা।
বিজ্ঞান বিভাগের প্রজ্ঞা বড়ুয়া জাগো নিউজকে জানান, জিপিএ-৫ পেয়েছি। এ আনন্দের কথা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ফলাফল আমাদের শিক্ষক ও বাবা-মায়ের কষ্টের ফসল। আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। তাই বুয়েটে ভর্তি এখন প্রধান লক্ষ্য।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪২ হাজার ৮৯৪ জন।
পরে বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd), নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএসের মধ্যমে ফল জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা। যা চলে ৯ জুন পর্যন্ত। আর ১১ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এবার ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন।
এসআই/একে/পিআর
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ইউজিসি ঘেরাও করে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- ২ গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে জরুরি নির্দেশনা
- ৩ শনিবারও বন্ধ থাকবে স্কুল, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই বহাল
- ৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালে ছুটি ৭৬ দিন, তালিকা প্রকাশ
- ৫ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুনে, বার্ষিক নভেম্বরে