ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্যামব্রিয়ান
সফলতা এমন একটি জিনিস যা প্রতিটি মানুষের চাহিদার অন্যতম অংশ দখল করে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে পরিপূর্ণ শিক্ষার একটা সামগ্রিক ধারণা নিয়ে রাজধানী ঢাকায় পথচলা শুরু করে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সফলতার সিঁড়ি বেয়েই ক্যামব্রিয়ান এখন একটি পরিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যামব্রিয়ান আজ একটি বিশাল শিক্ষাপরিবার, বর্তমানে যার ১৩টি বিল্ডিং এ পড়ালেখা করছে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় তার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার পিএমজেএফ। তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্যামব্রিয়ানকে ডিজিটাল ক্যাম্পাসে রূপ দেওয়ার এবং সেই কাজটি করে দেখিয়েছেন সর্বোচ্চ দুই বছরের ব্যবধানে। নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার কাজটি প্রাথমিক স্তর থেকেই শুরু করাসহ,ক্যামব্রিয়ানকে অত্যাধুনিক যুগোপযোগী এবং একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে।
২০১১ সালে ক্যামব্রিয়ানের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি ল্যাপটপ। এরপর ২০১২ সাল থেকে ৫ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রমান্বয়ে দেওয়া শুরু হয় ই-প্যাড, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং ২০১৩ সালে ক্যামব্রিয়ানের সকল শিক্ষার্থীদের হাতে একটি করে ই-প্যাড বা ল্যাপটপ তুলে দেয় ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ।
ডিজিটাল ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীরা যাতে সহজ-সাবলীলভাবে বিচরণ করতে পারে, সে জন্য তৈরি করা হয় ডিজিটাল ক্যামব্রিয়ান নামক একটি সাবলীল সফটওয়্যার। যে সফটওয়্যারে আছে নিম্নমাধ্যমিক থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সকল বোর্ড বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন ডিভিডি তথা সফট কপি। ফলে অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর শিক্ষার্থীদের হাতে যে ই-প্যাড বা ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হচ্ছে, তাতে সত্যিকারের আনন্দময় শিক্ষার এক পরিপূর্ণ পৃথিবী রয়েছে। যেমন, সব বইয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র ইনডেক্স, যেখানে ক্লিক করে এক সেকেন্ডেই একজন শিক্ষার্থী চলে যেতে পারবে যেকোনো বিষয়ের যেকোনো চ্যাপ্টারে। একই সাথে ক্যামব্রিয়ানের সকল ক্যাম্পাস এখন সম্পূর্ণ ওয়াই-ফাই জোনভুক্ত।
উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোক্তা লায়ন এম. কে. বাশারের শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত ধারা থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ক্যামব্রিয়ানে রয়েছে ৪০০ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম,স্মার্টবোর্ড, ৮০০ শতাধিক ডিজিটাল প্যাডাগোজি ও সৃজনশীল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ,সাত শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের ১০১টি শিক্ষা উপকরণ প্রতিষ্ঠান হতে ফ্রি প্রদান, প্লে থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সকল বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন ফ্রি প্রদান, উল্লেখ্য ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না।
ভর্তি ও তথ্য কেন্দ্র গুলশান সার্কেল-২ এর পাশাপাশি ক্যামব্রিয়ানের ক্যাম্পাস রয়েছে বারিধারা, বসুন্ধরা, নর্দ্দা, বাঁশতলা, মিরপুর, উত্তরা, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, কেরাণীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামে। এসব ক্যাম্পাস হতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক কারিকুলাম ও আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা গ্রহণ করছে।
ক্যামব্রিয়ানের বার্ষিক শিক্ষা কার্যক্রম চলে একটা পর্যায়ক্রমিক এবং টার্ম পদ্ধতিতে। আর পুরো প্রক্রিয়াটি চলে নির্ধারিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একটি পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে। তথ্যমতে, এখানে পাঠদান পদ্ধতি চলে কমপক্ষে ১৪টি বিষয় অবলম্বন করে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেসন প্লান, প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ের ক্লাস, ক্লাসের আগে লেকচার শিট প্রদান, প্রশ্নব্যাংক ও সমাধান, সাজেশন ও সমাধান, সুপারভাইজরি স্টাডি প্রোগ্রাম বা এসএসপি, অডিও ভিজ্যুয়াল, বিকল্প ক্লাস, মেকআপ ক্লাস, ব্যবহারিক ক্লাস, আবাসিক হোস্টেলে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান, শ্রেণি শিক্ষক, গাইড শিক্ষক ইত্যাদি।
ক্যামব্রিয়ানের ঈর্ষনীয় সাফল্য সম্পর্কে অধ্যক্ষ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা বরাবরই নজর রাখি শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো ফলাফল করতে পারে। প্রতিষ্ঠালগ্নের পর হতে আমাদের অনেক বাঁধা অতিক্রম করতে হয়েছে আর এই বাঁধা পেরিয়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের সফলতা। ২০০৮ সাল হতে ২০১৪ পর্যন্ত ক্যামব্রিয়ান কলেজ বরাবরই স্থান করে নিয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সেরা বিশের মেধা তালিকায়।
তিনি আরো জানান, ‘ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ডাক্তার ও সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া ক্যামব্রিয়ানের অনেক শিক্ষার্থী এখন ক্যামব্রিয়ানেই কাজ করছে। সহযোগিতা-শেখ জাহিদুজ্জামান
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ তৃতীয় শ্রেণির ‘গ্লানি থেকে মুক্তি’ চান প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা
- ২ ডিগ্রি পরীক্ষায় ৩০ মিনিট বেশি লিখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
- ৩ সরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদনে হিড়িক, বেসরকারিতে আগ্রহ কম
- ৪ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও চালু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা
- ৫ বাচ্চারা গুলি খেয়ে বিপ্লব করলো, মুরুব্বিরা পদ ভাগাভাগিতে ব্যস্ত