গণিত কেন পড়বেন
আমার-আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আছে গণিতের ব্যবহার। সরাসরি যোগ-বিয়োগের কথা বলছি না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বা কাজে আমরা যা করি, যেসব পণ্য ও সেবা ব্যবহার করি; সেসবের মধ্যে নিহিত আছে গণিত বা ম্যাথমেটিক্স।
গণিতের সঙ্গে প্রতিদিনের জীবন মিলিয়ে কল্পনা করা হয়তো কিছুটা কঠিন লাগবে অনেকের কাছেই। বিশেষ করে ছোটবেলায় যারা গণিত ক্লাসের ভয়ে কাঠ হয়ে থাকতেন আগে থেকেই। তাই গণিতের কিছু বাস্তব উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক।
সকালে মুঠোফোনের অ্যালার্মে ঘুম থেকে উঠে ঘড়িটা দেখে নেয় সবাই। তারপর তৈরি হয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই একটু সোশ্যাল মিডিয়া, একটু খবর আর কিছু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা। বিকাশের মতো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে শুরু করে রেলওয়ের টিকিট কাটার অ্যাপ। প্রতিটি ধাপেই প্রয়োজন হয় প্রোগ্রামিং। এই প্রোগ্রামিংয়ের ভিত্তিই গণিত।
অন্যদিকে বর্তমান সময় হচ্ছে ভিজ্যুয়াল বা ছবির যুগ। সত্য ছবি, মিথ্যা ছবি, এআই ছবি, এডিটেড ছবি। নানা রকম ছবির সমাহার। এসব ছবিকে ডেটায় রূপান্তর করে ইমেজ অ্যানালাইসিস করা হয় তথ্যের খোঁজে। এ সবগুলোই সম্ভব হয় গণিত ব্যবহারের ফলে। গণিতের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের নিত্যনতুন উদ্ভাবন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এসব উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজন গবেষণা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ এখনো এ বিষয়ে গবেষণায় পিছিয়ে আছে। ফলে আমাদের দেশের গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। তবে গবেষণার সুযোগ কম থাকলেও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে দেশেও।
ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ
১. ব্যাংকিং সেক্টরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের অ্যাপস্ ও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে, এসবের মূলে রয়েছে গণিতের ব্যবহার বা প্রোগ্রামিং।
২. আমাদের দেশে প্রতিটি স্কুল-কলেজেই গণিত একটি আবশ্যিক বিষয়, যারা শিক্ষকতায় যেতে চান; তাদের জন্য রাস্তা খোলাই আছে।
৩. আবহাওয়া অফিস, কোস্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং জাতীয় প্রতিষ্ঠানে গণিতের শিক্ষার্থীরা যেতে পারেন।
৪. গণিতের অ্যাপ্লিকেশনের একটি বড় ক্ষেত্র প্রকৌশলবিদ্যা বা ইঞ্জিনিয়ারিং।
একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন ভালো একটি পেশাজীবনের স্বপ্ন সঙ্গে নিয়ে। পাস করে বের হয়ে তার লক্ষ্য কী হবে, তা যদি একজন শিক্ষার্থী একটু আগে থেকেই চিন্তা করতে শুরু করেন। তাহলে তিনি নিজের জন্য সঠিক রাস্তা নির্বাচন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন
এএমপি/এসইউ/এমএস