শুরু হলো চার দিনব্যাপী গার্মেন্টস এক্সেসরিজ প্রদর্শনী
রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে গার্মেন্টস টেকনোলজি প্রদর্শনী বাংলাদেশের ২২তম (জিটিবি ২৫) এবং গ্যাপ এক্সপোর ১৪তম সংস্করণ। তৈরি পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি বা গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য নিয়ে এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। যৌথভাবে এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এবং এএসকে ট্রেড শো অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড।
আইসিসিবির ৪ নম্বর হলের মেজানিন ফ্লোরে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক।
আইসিসিবির ৮টি হল জুড়ে এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ২৫ দেশের ৫০০ প্রতিষ্ঠান। তৈরি পোশাকখাতের বৈশ্বিক প্রযুক্তি নিয়ে গত ২১ বছর ধরে প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে জিটিবি। এই প্রদর্শনীতে আরএমজি সেক্টরের কাটিং, সেলাই ফিনিশিং, এমব্রয়ডারি মেশিনারি, খুচরা জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের আনুষঙ্গিক পণ্য একসঙ্গে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রদর্শনীতে বিজিএপিএমইএর নেতৃস্থানীয় সদস্যরাও তাদের গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিংয়ে সর্বশেষ উদ্ভাবন প্রদর্শন করে থাকেন।
আরও পড়ুন
- কোনোভাবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে পারছে না সরকার
- গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের হতাশা যৌক্তিক
প্রদর্শনীর আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএসকে ট্রেড শো অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, ২০২৪ সালে কিছুটা খারাপ সময় গেলেও বর্তমানে অর্ডারের পরিমাণ বেশ বেড়েছে। নন-কটন পোশাক, বিশেষত খেলাধুলার পোশাকের বৈচিত্র্য ও সম্প্রসারণে নতুন ধারণা এসেছে। যা জিটিবির পরিবর্তন ও বিশেষায়িত যন্ত্রপাতির চাহিদা বৃদ্ধি করছে। এই প্রদর্শনীতে সেলাই লন্ড্রি, ফিনিশিং, সিএডি/সিএএম এবং এমব্রয়ডারির ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদ্ভাবন উপস্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত ২০২৫ সাল নিয়ে বেশ আশাবাদী। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো বাজারগুলোতে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ায় পশ্চিমা ক্রেতারা ফিরে আসতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও ২০২৪ সালে আরএমজি খাত রপ্তানি আয়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই উন্নতি সামগ্রিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও খাতটির দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতাকেই প্রতিফলিত করে।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবসায়িক দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এনএইচ/কেএসআর/এমএস