ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য পড়বে ৫৫ টাকা ৬ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চাল কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে গত বছরের ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেয়া প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয় ৫৬ টাকা ১২ পয়সা। আর ১৮ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেয়া প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয় ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ ৫ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

আরও পড়ুন

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস হতে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ থেকে অনুমোদিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ করা সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লি. এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন ৪৫৮.৮৪ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৫৫ টাকা ৬ পয়সা।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল এবং জিটুজি পদ্ধতিতে ১ লাখ টন আতপ চাল ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেসময় প্রতি টন ৪৫৬ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয় ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকেও ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। সে সময় প্রতি টন চালের দাম ধরা হয় ৪৬৭.৭০ ডলার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

এমএএস/এএমএ