ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বেক্সিমকোকে দেওয়া ঋণের বড় অংশই খেলাপি: সোনালী ব্যাংকের এমডি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৫

ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের জন্য নানানভাবে সমালোচিত বেক্সিমকো গ্রুপ। সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া গ্রুপটির এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে বড় অংশ খেলাপি হয়ে গেছে। এছাড়া হলমার্ক গ্রুপ ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ সম্পত্তি মর্টগেজ দিয়েছিল তার অতিরিক্ত আরও ১৬৭ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শওকত আলী খান। এসময় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শওকত আলী খান বলেন, হলমার্ক, টিএম ব্রাদার্সসহ যাদের কাছে ব্যাংকের বড় বড় পাওনা রয়েছে- তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। হলমার্ক গ্রুপ ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ সম্পত্তি মর্টগেজ দিয়েছিল তার অতিরিক্ত আরও ১৬৭ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এ বছর নিট ইন্টারেস্ট ইনকামের (নিট মুনাফার) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। এটি গত বছরের চেয়ে ৯৪৯ কোটি টাকা বেশি। ব্যাংকের জন্য এ বছরের স্লোগান ‘২০২৫ সাল হবে সোনালী ব্যাংকের সমৃদ্ধির পথে চলার বছর’।

সোনালী ব্যাংকের এমডি বলেন, কর্মীদের মোটিভেট করতে আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীদের পদোন্নতি দিয়েছি। তারা ভালো থাকলে ব্যাংক ভালো করবে। অনেকেই ৭/৮ বছর পর পদোন্নতি পেয়েছেন। এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। ব্যাংকের স্বার্থেই তাদের পদোন্নতি দিয়েছি।

তিনি বলেন, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪ সালে বিপুল মুনাফা করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালে পরিচালন মুনাফা বেড়েছে এক হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। রেকর্ড মুনাফার পাশাপাশি ২০২৪ সালে আমানতের পরিমাণ বেড়ে এক লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে যা ১৪ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা বেশি।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে ব্যাংকটির এমডি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা খেলাপি ঋণ কমাতে কাজ করছি। উৎপাদনশীল খাতে ঋণ দিতে আমরা এসএমই-সিএমএসএমই ঋণে জোর দিয়েছি। ২০২৪ সালে রেকর্ড মুনাফার কারণে আমাদের প্রভিশন ঘাটতি কমে আসবে।

ইএআর/কেএসআর