অসাধু বাণিজ্য হতে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার তাগিদ উপদেষ্টার
অসাধু বাণিজ্য হতে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার স্বার্থে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এজন্য সরকার এবং ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, রপ্তানিকারক, আমদানিকারকসহ সকল পক্ষের জন্যই এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি আবশ্যক বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ‘এন্টি-ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং অ্যান্ড সেইফগার্ড মেজার্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী একটি সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সেমিনারটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, বাণিজ্য প্রতিবিধান বিষয়ক শুল্ক আরোপের বিষয়ে সরকারকে যথাযথ সুপারিশ প্রণয়নের জন্য নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ হলেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান। এছাড়াও অসাধু বাণিজ্য হতে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার স্বার্থে ডাম্পিং, এন্টি-ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং ও সেইফগার্ড মেজার্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ট্যারিফ সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে ব্যবসায়ীদের ট্যারিফ কমিশনের সহায়তা নেয়ার জন্যে পরামর্শ দেন উপদেষ্টা। এর পাশাপাশি বিদেশি পণ্যের আমদানিতে যে কোন অসাধুতা প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
- আরও পড়ুন
- লুটপাটের কারণে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জাপান চেম্বারের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
সেমিনারে আলোচকেরা ডাম্পিং, এন্টি-ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং ও সেইফগার্ড মেজার্স বিষয়ে সম্যক ধারণা তুলে ধরেন। তারা বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশনের সংশ্লিষ্ট চুক্তির সঙ্গে সংগতি রেখে কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এবং বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন ২০২০ এর আওতায় এন্টি-ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং, সেইফগার্ড ও এন্টি-সারকামভেনশন শুল্ক আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। তারা আরও জানান, এ সকল বিষয়ে তদন্ত পরিচালনাপূর্বক দেশীয় শিল্পের অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং এসএইচএসএস ডিন ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে আরো ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক জনাব মো. হাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মইনুল খান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
এনএইচ/এএমএ/এএসএম