পেঁয়াজ-কাণ্ডে বিএডিসির দুই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
চলতি মৌসুমে দেশের কয়েকটি জেলায় বিতরণ করা পেঁয়াজ বীজের অঙ্কুরোদগম হার অস্বাভাবিক কম হওয়ায় কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এর প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও অদক্ষতার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- পেঁয়াজ বীজ মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গাবতলী বিএডিসি বীজ পরীক্ষাগারের যুগ্ম পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং গাবতলী সবজি বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক শাহানা আক্তার। চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৯০ অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার বিএডিসির সচিব (উপসচিব) ড. কে, এম, মামুন উজ্জামানের সই করা পৃথক আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই ঘটনায় বিএডিসির পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান বিএডিসি চেয়ারম্যান (গ্রেড -১) রুহুল আমিনের সই করা আদেশে অর্পিত দায়িত্ব পালনে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
বিএডিসির কেনা পেঁয়াজ বীজের তাহিরপুর জাতের শীতকালীন অঙ্কুরোদগম হার বীজ মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ৮০ শতাংশ ও ৮১ শতাংশ দেখানো হয়। অথচ কৃষকের মাঠে বিশেষত ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর অঙ্কুরোদগম হার ক্ষেত্রবিশেষ ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হয়। এতে প্রতীয়মান হয় মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন যথার্থ ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় অধিকতর তদন্ত করে জড়িত কর্মকর্তা ও বীজ সরবরাহকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এনএইচ/এমকেআর/এমএস