ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

‘বন্দরের কার্যক্রমে সরকারি সংস্থার সমন্বয়হীনতা কমানো জরুরি’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের জিডিপিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ, তবে এ হার আরও উন্নীত করতে হলে বন্দর এবং শুল্ক কার্যক্রমে অটোমেশন, লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সমন্বয়হীনতা কমানো, ব্যালান্স অব পেমেন্টের অবস্থার উন্নয়ন, রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং ঋণের সুদহার যৌক্তিকভাবে কমানো জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ডিসিসিআই আয়োজিত ‘ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া সহজীকরণ: প্রেক্ষিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টাকার মূল্যমান হ্রাস, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বল্পতা, সুদের উচ্চহার এবং ঋণপত্র খোলার প্রতিবন্ধকতাসহ নানান সমস্যা বেসরকারি খাত মোকাবিলা করছে।

এছাড়াও বন্দরগুলোতে আমদানি পণ্যের শুল্কায়নে পদ্ধতিগত জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা, নানান ধরনের জরিমানা আরোপের ফলে ব্যবসায়িক খরচ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আশরাফ আহমেদ।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৫ অর্থবছরের জন্য সরকার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে আমাদের সব বন্দরের কার্যক্রমে অটোমেশনের পাশাপাশি সহজীকরণ, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বন্দর ও কাস্টমস হাউজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে হবে।

একই সঙ্গে বন্দরগুলোর সঙ্গে স্থল, রেল ও জলপথের সংযোগ উন্নীতকরণ, আন্তর্জাতিক লেনদেন প্রক্রিয়া সহজতর করার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আলোচনায় সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সদস্য (ফিন্যান্স) এস এম লাভলুর রহমান বলেন, বন্দরে নিয়োজিত সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতার কারণে অনেকক্ষেত্রে পণ্যের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতা পরিলক্ষিত হয়।

তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম চালু হলে কার্গো সুবিধা আরও দুই-তিনগুণ বাড়বে এবং সেখানে আরও তিনটি কার্গো ভিলেজ স্থাপন করা হবে। বিমানবন্দরগুলোতে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজতর করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলুর রহমান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মো. কামাল হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (ডব্লিউটিও অনুবিভাগ) ড. ফারহানা আইরিছ ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসান আলী।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ডিসিসিআই পরিচালক তাসকিন আহমেদ, রাজীব এইচ চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহ, সাবেক পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান ও আহ্বায়ক মো. সাইফুর রহমান। এছাড়া ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআরএস/বিএ/এমএস