ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বিএবি সভাপতি

ঋণ খেলাপিরা কানাডায় বসে যেন বাংলাদেশে কোর্টে লড়ার সুযোগ না পায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে তারা যেন কোর্টে প্রতিনিধি পাঠিয়ে মামলা লড়তে না পারে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এমন দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সভাপতি আব্দুল হাই সরকার।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যাংক মালিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

সাক্ষাৎ শেষে আব্দুল হাই সরকার সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে আমাদের যে অন্তবর্তী সরকার রয়েছে, তারা কাজ করছে। বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন তখন আমি ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান। উনার সময় ব্যাংকগুলো কত সুন্দর চলেছে। যখন থেকে সরকারের পক্ষ থেকে অন্যায় আদেশ করা হতো সেগুলো মানতে গিয়েই তো ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়ে গেছে। শেষ মুহূর্তে এসে এই অবস্থায় দাঁড়িয়েছে এখন। আশা করি বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে এ অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

তিনি বলেন, যখন একটি ব্যাংক সমস্যায় পড়ে যায় তখন ডিপোজিটররা সেই ব্যাংকে টাকা রাখতে চান না। তারা মনে করে এই ব্যাংকে টাকা রাখলে নষ্ট হবে। এই যে মানুষের বিশ্বাস, এটাকে গ্রো করতে সময় লাগবে। বর্তমান সরকার যেভাবে আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছে এবং সুন্দর পলিসি দিচ্ছে তাতে আমরা দ্রুত এ সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো।

এই বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব ছিল কি না, জানতে চাইলে বিএবি সভাপতি বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে তারা যেন কোর্টে আসতে না পারে। অনেকেই পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। পলাতকদের কোনো অধিকার নেই কোর্টে তাদের প্রতিনিধি পাঠানোর। এই সুযোগ তাদের দেওয়া উচিত না। তারা কানাডায় বসে থেকে দেশে কেইস কনটেস্ট করার সুযোগ যেন না পায়। এটা করতে হলে তারা দেশে এসে করুক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা দিয়ে অন্য ব্যাংকগুলোকে বাঁচানো সম্ভব নয়। আমরা বলেছি, আন্তর্জাতিক ফাইনান্স করপোরেশন, আইএমএফ, এডিবি, আইএমএফ-এর মাধ্যমে এদের যদি একটা প্যাকেজ দেওয়া যায় তাহলে এসব ব্যাংককে বাচাঁনোর সেরা মাধ্যম হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের মূল শক্তি ডিপোজিটররা। যদি তারা টাকা না রাখে তাহলে ব্যাংক শেষ। তাহলে লোনও দেওয়া যাবে না। ব্যাংক বাঁচবে কীভাবে? টাকার সোর্স তো ডিপোজিটর। আমরা বোর্ডে বসতে পারি কিন্তু আমাদের আর কত টাকা আছে!

এভাবে ব্যাংক টেকাতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিটি জিনিসেরই সমাধান আছে। ওই সমাধানটাই বের করার চেষ্টা করছি। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি যাতে সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলোকে সাহায্য করতে পারি।

এমএএস/এমএইচআর/জেআইএম