ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বিএসইসি সভা

আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৪

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের প্রক্রিয়া সহজ করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ জানিয়েছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তারা এসব সুপারিশ করেন।

বিএসইসির ডাকা এই মতবিনিময় সভায় ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (এসিআরএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি), ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) শীর্ষ প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসি কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন বলে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি থেকে জানানো হয়েছে।

সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, ইস্যুয়ার বা তালিকাভুক্ত কোম্পানি, স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি, সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিরীক্ষা সংস্থার নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়বদ্ধ সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফআরসিসহ সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে যথাযথভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

একটি সমৃদ্ধ ও সফল পুঁজিবাজার গড়তে শুধু বিএসইসি নয় বরং পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে নিয়মমাফিক নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতে হবে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে অবদান রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

সভায় ডিবিএ, বিএমবিএ, এসিআরএবি, বিএপিএলসি, এফআরসি, আইসিএবি এবং আইসিএমএবির শীর্ষ প্রতিনিধিরা দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কার বিষয়ে মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এসময় পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশের পথে বিদ্যমান বিভিন্ন অন্তরায় কিংবা প্রতিবন্ধকতার কথাও উঠে আসে।

সভায় তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীজনসহ সমগ্র পুঁজিবাজারের রেগুলেটরি কাঠামোর সংস্কার, পুঁজিবাজারের মনিটরিং কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ, সুশাসন নিশ্চিতকরণ, সিকিউরিটিজ আইনের যথাযথ পরিপালন বাস্তবায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার ও বিকাশের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব উঠে আসে।

এছাড়া পুঁজিবাজার বিষয়ে ভালো মানের গবেষণা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ ও উৎসাহিতকরণের সঙ্গে সঙ্গে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ, আইপিও লিস্টিংয়ের রুলস ও আইপিও অনুমোদনের প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিরেক্ট লিস্টিং করার প্রক্রিয়া পুনরায় চালুকরণ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ট্যাক্স বেনিফিট যুক্তিসঙ্গতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়ন, লভ্যাংশ ও ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর আরোপের নীতির সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং জাতীয় অর্থায়ন কৌশলপত্র তথা বাজেটে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা উঠে আসে।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস এবং ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের শীর্ষ নির্বাহীদের মতবিনিময় সভা করে বিএসইসি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামীতেও পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কার বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সম্পৃক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ অন্য সব পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার, এজেন্সি এবং বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হবে। সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার মতামত ও অংশগ্রহণ এবং অংশীজনদের সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে বিএসইসি কাজ করছে।

এমএএস/এমকেআর/জেআইএম