এক লাখ ৪০ হাজার টন সার কিনবে সরকার, ব্যয় ৬৩৭ কোটি টাকা
দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফাটিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং মরক্কো, কানাডা, রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া, ৭০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৩৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশে সারের কোনো সংকট হবে না।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব দেয় শিল্প মন্ত্রণায়। কমিটি এই সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩২৫ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
সভায় সার কেনার বাকি তিনটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ২৮৫ ডলার।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায় কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদ দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এই সার আমদানিতে মোট খরচ হবে ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ২৮৫ টাকা।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি এবং বিএডিসির মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫ মার্কিট ডলার।
এমএএস/এমআইএইচএস/এএসএম