কুয়েত-বাংলাদেশ বিনিয়োগ বাড়াতে মন্ত্রিসভায় খসড়া চুক্তি অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে খসড়া চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তি হওয়ার পর বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে ভিসা সুবিধা পাবেন। এছাড়া কুয়েত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, কুয়েত সরকার জিটুজি ভিত্তিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থান বাড়বে। প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়বে।
২০০৫ সালে এই চুক্তি প্রণয়নে কাজ শুরুর পর ২০১৫ সালে কুয়েত খসড়া দেয়। বেশ কয়েকটি সভার পরে গত ১১-১৩ এপ্রিল ঢাকায় বৈঠকে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়। ওই খসড়াতেই মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এলে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক, বিশেষ ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা কুয়েতে ভিসা অব্যাহতির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের একটি প্রস্তাবেও মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ চুক্তি হলে কূটনৈতিক, বিশেষ ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা কুয়েতে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। কুয়েতের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরাও বাংলাদেশে এ সুযোগ পাবেন।
বর্তমানে ১৪টি দেশের সঙ্গে কূটনীতিক, বিশেষ ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের এই ভিসা অব্যাহতির সুবিধা চালু আছে। এছাড়া সিআইপি (কমারশিয়ালি ইমপরটেন্ট পারসন) বা বিশেষ সংস্থার প্রতিনিধিসহ আরও কিছু ব্যক্তি ‘বিশেষ পাসপোর্ট’ ব্যবহার করেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, ভারত, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, চীন, চিলি, তুরস্ক, লাওস, কম্বোডিয়া, বেলারুশ, ব্রাজিল ও কম্বোডিয়ায় সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি রয়েছে। আরও ১০টি দেশের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কোম্পানি ফি বাড়ছে
কোম্পানি আইনের তফসিল পরিবর্তন করে বিভিন্ন ফির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। ২০০৭ সালে কোম্পানি আইনের তফসিল প্রথমবারের মতো পুনর্বিন্যাস করা হয় জানিয়ে শফিউল বলেন, আট বছর পরে নতুন করে পরিবর্তন করা হচ্ছে।
“রাজস্ব খাতে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। এই খাত থেকে ৭০ কোটি টাকার মতো পাই। যেহেতু ইকোনমির সাইজ অনেক বড়, তাই রাজস্ব যোগান দিতে হয়। এজন্য ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।”
তফসিল পরিবর্তন করে বিভিন্ন ফির পরিমাণ বাড়ানোয় এখন এ খাত থেকে দেড়শ কোটি টাকার মতো পাওয়া যাবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
এইচএস/বিএ