ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বেতন-ভাতা পরিশোধে বিশেষ ঋণ সুবিধা পাবে রপ্তানিমুখী শিল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৪ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে বিশেষ ঋণ সুবিধা পাবে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দিয়ে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম এবং রপ্তানিমূল্য যথাসময়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এ পরিস্থিতে উৎপাদন সক্ষমতা বজায় রেখে রপ্তানির গতিধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে অর্থায়ন সহায়তা দেওয়ার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।

নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের চলতি বছরের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের নিমিত্ত চলতি মূলধন ঋণসীমার বাইরে প্রযোজ্যতা অনুসারে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহকের সক্ষমতা বিশ্লেষণপূর্বক মেয়াদী ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে। ঋণ সুবিধার পরিমাণ ঋণগ্রহীতা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের প্রদত্ত গড় বেতন-ভাতার অধিক হবে না।

যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ রপ্তানি করে তারা রপ্তানিমুখী শিল্প। আর যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের চলতি বছরের মে থেকে জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করেছে তারা সচল হিসেবে বিবেচিত হবে। সচল ও রপ্তানিমুখী হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ইত্যাদি) প্রত্যয়নপত্র দ্বারা সমর্থিত হতে হবে।

নতুন এ নির্দেশনায় বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঋণের বিপরীতে বাজারভিত্তিক প্রচলিত সুদহার প্রযোজ্য হবে। তফসিলি ব্যাংকসমূহ সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীর ব্যাংক হিসেবে সরাসরি চলতি বছরের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতার অর্থ প্রদান করবে।

আলোচ্য ঋণসহ গ্রাহকের মোট ঋণ একক গ্রাহক ঋণ সীমার মধ্যে থাকতে হবে। ঋণের অর্থ মেয়াদী ঋণ আকারে ৩ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১ বছরে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) আদায় করা যাবে। এ ঋণের ওপর নিয়মিত সুদ ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার অতিরিক্ত সুদ বা মুনাফা, ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না।

ইএআর/এমআইএইচএস