পুঁজিবাজারের ১৫ বছরের কার্যক্রমের তদন্ত চায় ডিবিএ
ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর পুনর্মূল্যায়নসহ ডিএসইর পর্ষদ পরিচালক নিয়োগে সমতা এবং গত ১৫ বছরে (২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) পুঁজিবাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমের ওপর তদন্ত দাবি করেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এর কাছে চিঠি লিখে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সই করা চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর অধীনে ডিএসই পর্ষদে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিধান রয়েছে।
এই সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকে পর্ষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। অন্যদিকে ডিএসইর ২৫০ জন শেয়ারহোল্ডারের প্রত্যক্ষ ভোটে চারজন শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত হয়ে পরিচালক হিসেবে পর্ষদে আসেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানসহ সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে ডিএসইসহ পুঁজিবাজারের যে কোনো সিদ্ধান্তে তাদের একক আধিপত্য ও প্রভাব থাকে। স্বতন্ত্র পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্যে এমন সংখ্যাগত বৈষম্যের ফলে ডিএসইর কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্তে ভিন্নতা ও বৈষম্য তৈরি হয়ে ২০১৩ সাল থেকে আজ ডিএসই একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
ডিএসইকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডিএসইর ভূমিকা জোরদার করতে চিঠিতে অর্থ উপদেষ্টার কাছে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে-
>> বিদ্যমান ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর পুনর্মূল্যায়ন করা।
>> ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের মধ্যে সমতা তৈরি করে সেক্ষেত্রে ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ছয়জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা।
>> বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে গত ১৫ বছর (২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) পুঁজিবাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমের ওপর তদন্ত কমিটি গঠন করা।
এমএএস/এমকেআর/জিকেএস