ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নবনিযুক্ত এনবিআর চেয়ারম্যান

কালো টাকা সাদা করার বিধানটি বাদ যাওয়া উচিত ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২৪

কালো টাকা সাদা করার বিধানকে অশোভন ও অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে নবনিযুক্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, গত বাজেটে এটি যখন উত্থাপন হয় তখন এর বিরোধিতা করেছি। একপর্যায়ে মনে হয়েছিল ওটা বাদ যাবে। কিন্তু বাদ যায়নি। বাদ যাওয়া উচিত ছিল। কালোটাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কালো টাকা সাদা নিয়ে আমরা আলাপ করবো। এখন এই পর্যায়ে এসে যদি উপদেষ্টা (অর্থ উপদেষ্টা) সিদ্ধান্ত নেয়… কিন্তু সেটা আমি এখনই বলতে পারছি না।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মতামত তুলে ধরেন। এসময় এনবিআরের শুল্ক, আয়কর ও ভ্যাট অনুবিভাগের সদস্যসহ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালো টাকা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো- এটা অত্যন্ত অশোভন কাজ। টোটালি আনএক্সসেপ্টেবল। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে দুটো জিনিস স্বীকার করে নেওয়া হয়। দুর্নীতি হচ্ছে এটাকে মেনে নিচ্ছি, এছাড়া সৎ করদাতাদের অনুসৎসাহিত করছি। একজন সৎ করদাতা রেগুলার রেটে ২৫ পার্সেন্ট কর দিচ্ছেন। আরেকজন কর না দিয়ে অবৈধ পন্থায় টাকা উপার্জন করে টাকাটা নিজের কাছে রেখে দিলেন। এখন কম টাকা দিয়ে সেটা দেখাবেন। এটা ব্যক্তিগতভাবে বিরোধিতা করি। গতবার যখন এটা হয় আমি আমার তরফ থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের তৎকালীন চেয়ারম্যানকে বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বলেছি। একপর্যায়ে মনে হয়েছিল ওটা বাদ যাবে।’

তিনি বলেন, পদোন্নতি বঞ্চিতদের শিগগির মূল্যায়ন করা হবে। আর প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি না মেনে চললে তাকে এনবিআর ছাড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। নিজ প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কর ফাঁকিরোধ ও অর্থপাচাররোধে এনবিআর কঠোর অবস্থান নেবে।

আবদুর রহমান খান বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই আমার কখনোই তেলাপোকার মতো আমার বাঁচার ইচ্ছা নাই। আমি যে কয়দিন টিকি ডায়নোসরের মতো টিকবো, আর নাইলে টিকবো না। আমি আপনাদের এই ম্যাসেজটুকুই দিলাম।

এনবিআরকে আগাগোড়া অটোমেশন করা হবে জানিয়ে নবনিযুক্ত এই চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা শতভাগ অটোমেশন করা হবে। এ জন্য যত টাকা দরকার তা দিতে রাজি আছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দাতাসংস্থাগুলোও এই খাতে অর্থায়ন করতে প্রস্তুত। আমাদের টার্গেট থাকতে হবে এই অটোমেশন হবে কম্প্রিহেনসিভ (ব্যাপকভাবে) এবং কার্যকর এবং টেকসই হতে হবে। যাতে এটা হাজার বছর ধরে এনবিআর ব্যবহার করতে পারে এবং আর যেন কেউ পরিবর্তন করতে না পারে।

এসএম/জেএইচ/জিকেএস