পাচার অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসের অর্থায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা এবং নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির ২৮তম সভা শেষে বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
যে অর্থ দেশের বাইরে গেছে সেটা ফেরত আনার জন্য কি পদক্ষেপ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো, এরকম অর্থ যেন জেনারেট না হয়। কালো টাকা যেন না হয়, কালো টাকা হলে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে না। বহু টাকা নিলে সৎ ব্যবসায়ীরা তো ব্যবসা করতে পারবে না।
- আরও পড়ুন
- টাকা পাচারকারীদের টাকার বালিশে ঘুমাতে দেওয়া হবে না
১৫ বছরে ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে লোপাট ৯২২৬১ কোটি টাকা: সিপিডি
তিনি বলেন, এসব টাকা কোথায় গেছে কিভাবে গেছে, দেশের বাইরে গিয়ে থাকলে প্রসেসটা কী? যদি গিয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ব্যাপার আছে, তাদের আইন আছে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
দেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে বলতে হলে সে পরিমাণ তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হয়। একটু সময় লাগবে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, গত দুই বছর পর আমরা মিটিং করছি৷ আজকে মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়সহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা দেশের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা যেটা করেছি এ বিষয়ে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত আছে ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ আছে, তারা সবাই এসেছেন৷ যার যা দায়িত্ব সেটা যথাযথভাবে পালন করতে আমরা বলেছি। কেউ যদি স্লো হয়ে থাকে তাকে অ্যাকটিভ করতে বলেছি। একই সঙ্গে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, কিছু গাইডলাইন লাগে, আইনের কিছু বিষয় থাকে সেটা আমরা করবো৷ এখন যে বিদ্যমান আইন আছে সেটা যথেষ্ট ভালো। আর আপনারা সবকিছু নির্ভয়ে করবেন, ভয়ের কিছু নেই। আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী দেশের স্বার্থে কাজ করবেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেক স্পর্শকাতর বিষয় আছে, সেসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। যারা এরই মধ্যে করেছে (অর্থপাচার), নাম শুনেছেন। তাদের বিষয়ে কিছু কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, কিছু কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়েছে। আমরা আমাদের দিক থেকে সবসময় চেষ্টা করবো। কী কী করা হয়েছে এবং কী কী করা যেতে পারে এসব বিষয়ে আমরা কিছুদিন পর আবার রিভিউ মিটিংয়ে বসবো।
এনবিআরে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণে সমস্যা হবে কি না- জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, সেগুলো আমার মাথায় আছে। কোনো সমস্যা হবে না।
এমএএস/এমকেআর/জেআইএম