ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে ক্রেতা সংকট, বড় দরপতন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কারণে টানা তিন কার্যদিবস বন্ধ থাকার পর বুধবার দেশের শেয়ারবাজার আবার লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।

প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৯০ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার কিছু বেশি। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন’শ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ক্রেতা সংকটে পড়েছে আড়াই’শ এর বেশি প্রতিষ্ঠান।

ক্রেতা সংকটে পড়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুল পরিমাণে বিক্রির আদেশ বসিয়েছেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী হতাশ হচ্ছেন। দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির চেষ্টা করেও তারা বিক্রি করতে পারছেন না।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। পাশাপাশি লেনদেনেও বেশি ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের কোট আন্দোলনের মধ্যে গত বুধবার এক দল আন্দোলনকারীর তাণ্ডবে রাজধানীজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। রাতে দুষ্কৃতিকারীরা হাফিন ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। রাতভর যাত্রাবাড়ি অঞ্চলে চলে সংঘর্ষ। বৃহষ্পতিবারও টোলপ্লাজায় আগুন দেয়া হয়। সেই সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো হয় তাণ্ডব। আগুণ দেয়া হয় একাধিক পুলিশ বক্সে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে এক পর্যায়ে কারফিউ জারি করে সরকার। সেই সঙ্গে নামানো হয় সেনাবাহিনী। এতে অনেকটাই ঘরবন্দী হয়ে পড়ে মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে খুব একটা বের হননি। তবে সেনাবাহিনী রাস্তায় নামার পর অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ফলে শিথিল করা হয়েছে কারফিউ।
রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। সীমিত পরিসরে চলছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। ব্যাংক খোলায় শেয়ারবাজারেও লেনদেন চালু করা হয়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো নয়, শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে তিন ঘণ্টা।

বুধবার নির্ধারিতে সময় সকাল ১১টাতেই শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেনের শুরুতেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় চলে যায়। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ক্রেতা সংকট বাড়তে থাকে। বিপরীতে বাড়তে থাকে বিক্রির চাপ। ফলে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। এতে লেনদেনের সময় গাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের পতনের মাত্রা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ১২ মিনিটে ডিএসইতে মাত্র ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪২টির। আর ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৯১ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২০ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৮ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৬ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৯৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৬৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩টির, কমেছে ৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির।

এমএএস/এসএনআর/জিকেএস