রপ্তানি আয় নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো অর্থ মন্ত্রণালয়
রপ্তানি আয় নিয়ে ওঠা বিতর্কের প্রেক্ষিতে এ নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি পত্রিকার প্রকাশিত রপ্তানির উপাত্ত সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কর্তৃক উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ফলে আশা করা যায় এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।
- আরও পড়ুন
রপ্তানি আয় কমতে পারে ৪.৩৬ শতাংশ
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় কমেছে ০.৪৯ শতাংশ
রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয়
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, রপ্তানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধুমাত্র সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রপ্তানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপির হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়। ফলে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় রপ্তানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাবার যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এরই মধ্যে সবার অবগতির জন্য পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে- বলেও জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রপ্তানির ক্ষেত্রে দেওয়া নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত প্রকৃত রপ্তানি আয় প্রাপ্তি এবং থার্ড পার্টি অডিটরের মাধ্যমে প্রকৃত ক্যাশ ইনসেন্টিভ নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সুতরাং, সরকার কর্তৃক রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে তা সঠিক রয়েছে।
এমএএস/এমআরএম/জেআইএম