চালের দাম আরও বাড়লো, সবজি আলু পেঁয়াজেও অস্বস্তি
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে নিত্যদিনের ভোগান্তি যেন কমছেই না। এতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এবার নতুন করে বেড়েছে প্রধান খাদ্য চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে ৪ থেকে ৫ টাকা বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে ভোক্তদের। এতে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে কথা হয় একটি বেসরকারি অফিসের পিয়ন এনামুল হকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অনেকদিন ধরেই সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে চালের দাম আরও বাড়ার বিষয়টি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
তিনি জানান, নিয়মিতই মাঝারি মানের বিআর-২৮ চাল কেনেন। এতদিন প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল কিনতেন ৫৬ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪ টাকা।
আরও পড়ুন
কথা হয় ওই বাজারে শিমুল রাইস এজেন্সি নামে দোকানের বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, মোকামে প্রতি বস্তা চালে ২০০ টাকা বেড়েছে। আমরা যেভাবে কিনছি, সেভাবেই বিক্রি করছি।
তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি।
এদিকে, গত সপ্তাহ থেকে সবজির বাজারে যে অস্থিতিশীলতা, সেটা এখনো কাটেনি বরং সব ধরনের সবজির দাম আরও বেড়েছে। দেশের কয়েকটি এলাকায় বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
শুক্রবারও রাতভর বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম ছিল। সকালে ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল কম। নিচু এলাকার বাজারগুলোয় পানি জমেছে। অনেকে বাজারে এসে পড়েছেন ভোগান্তিতে।
সকালে ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বরবটি ১০০-১২০ টাকা, করলা ১২০-১৪০, কচুরমুখি ১২০-১৬০ টাকা, কাকরোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও বেগুন ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কমের মধ্যে রয়েছে শুধু পটল ও পেঁপে, যা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
স্বস্তি ফেরেনি পেঁয়াজ ও আলুর দামেও। বিভিন্ন বাজারে আজ পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে।
অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে আজ ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিমের দামও কমেনি। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।
একই ভাবে আকারভেদে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। সীমিত আয়ের মানুষ সাধারণত তেলাপিয়া, পাঙাশ ও চাষের কই মাছ বেশি কেনেন। মাঝারি আকারের এসব মাছের কেজিও ২৫০ টাকার আশপাশে।
এনএইচ/এমকেআর/এমএস