টার্গেট নবম পঞ্চবার্ষিক
বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা পরিকল্পনা সংশোধন করছে জাপান
নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা টার্গেট করে বাংলাদেশের চাহিদা ও জাপানের পলিসি অনুযায়ী সহযোগিতা পরিকল্পনা সংশোধন করছে জাপান। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি তৈরি করা হবে। কোভিডের কারণে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। নবম পরিকল্পনায় তা পুষিয়ে নেবে সরকার।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুন মাসের মধ্যে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এ পরিকল্পনা তৈরি করছে। এই পরিকল্পনার চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জাপান।
বুধবার (১০ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির।
সাক্ষাত শেষে এক প্রশ্নের জবাবে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের মধ্যে নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবম-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ। এই বিশাল পরিকল্পনায় জাপানের পলিসি ও বাংলাদেশের চাহিদা অনুয়ায়ী জাপান অর্থায়ন করে পাশে থাকবে। জাপান কান্ট্রি অ্যাসিসটেন্স পরিকল্পনা সংশোধন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোন কোন খাতে সহায়তা দরকার উভয় দেশ মিলে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। সরকারের প্রায়োরিটি অনুযায়ী জাপান পাশে থাকবে।
নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য এরই মধ্যেই একটি ধারণাপত্র তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২০৩০): উচ্চ মধ্য আয়ের জন্য টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধি শিরোনামের ধারণাপত্র নিয়ে আলোচনা করার জন্য ১৫টিরও বেশি মন্ত্রণালয়ের সচিব এ সভা হয়।
ধারণাপত্র অনুযায়ী ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৫ সময়ের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছিল। এটি ছিল চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সিরিজের মধ্যে প্রথম যা সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
সাক্ষাৎ শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাপানি রাষ্ট্রদূত আমাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন। দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাপান সহযোগিতা দিয়ে আসছে সেটি অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিশেষ করে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের দ্বিতীয় পর্যায়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। জাপানের অর্থায়নে ৪০ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা একটা টেকনিকেল বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে জাপানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পঞ্চবার্ষিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাপান পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সালাম বলেন, জাপান সব সময় আমাদের সঙ্গে আছে। ভবিষ্যতে নানা উন্নয়নে তারা পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে।
এমওএস/এমআইএইচএস/এএসএম