ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

এক অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি ১২.৭৯ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২৪

দেশে চলমান ডলার সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোকে সাপোর্ট দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত আমদানি বিল মেটাতে হিমশিম খাওয়ায় ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরো সময়ে রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ২৭৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। অন্যদিকে ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহের বিপরীতে বাজার থেকে সমপরিমাণ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১-২২ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিক্রি করে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আর সবশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোকে দিয়েছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার।

তীব্র ডলার সংকটের কারণে বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে ডলার বিক্রি করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে কমতে থাকে রিজার্ভের পরিমাণ। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ২৪ বিলিয়ন ডলার। ওই বছরের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মদ্রার মজুত বা রিজার্ভ সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।

বর্তমানে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী (বিপিএম৬) ৩০ জুন পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে।

২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বিপিএম৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। আমদানি বিল পরিশোধ কমলেও ডলার বিক্রি এখনো চলছে।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ (১৬ বিলিয়ন ডলার) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃক জুনের জন্য নির্ধারিত ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করা হয়। গ্রস বা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়।

আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণে বিদায়ী অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময় পর্যন্ত ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই (জুলাই-সার্চ) সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। ঋণপত্র থেকে কোনো দেশের আমদানি বিল পরিশোধের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে।

ইএআর/এমকেআর/জিকেএস