ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

অগ্রণী ব্যাংক কর্মীদের ই-মেইল হ্যাক, পুনরুদ্ধার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ২৯ জুন ২০২৪

রাষ্ট্র মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের কিছু তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ‘কিল সিকিউরিটি’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ১২ হাজারের বেশি তথ্য চুরি করে বলে দাবি করেছে। এ বিষয়ে হ্যাকাররা অর্থও দাবি করেছিল বলে জানা যায়। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো সার্ভার হ্যাকারদের কবলে পড়েনি। কিছু কর্মীর ই-মেইল আইডি হ্যাকারদের হাতে গেলেও সেগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, ‘কিল সিকিউরিটি’ নামের হ্যাকার গ্রুপটি অগ্রণী ব্যাংকের ১২ হাজারের বেশি তথ্য হ্যাক করে। টেলিগ্রামের মাধ্যমে গত ১৭ মে হ্যাকাররা বার্তা দিয়ে জানায়, ৫ হাজার ইউরো তাদের না দিলে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেবে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না পেয়ে হ্যাকার গ্রুপ ডার্ক ওয়েবে গত ৬ জুন তথ্যগুলো ফাঁস করে দেয়।

তবে ব্যাংকটির একটি সূত্র জানায়, অগ্রণী ব্যাংকের কিছু তথ্য ফাঁসের দাবি করে একটি হ্যাকার গ্রুপ অর্থ দাবি করেছিল। বড় ধরনের হ্যাকের কোনো ঘটনা ঘটেনি, কয়েকজন কর্মীর ই-মেইল আইডি হ্যাকড হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই সার্ভার স্লো কাজ করছে। সার্কুলারগুলো ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা ভেবেছি হয়তো আইটি ভেন্ডার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলাপ চলছে। এখন ভেতরে ভেতরে হ্যাকার আক্রমণের কথা শুনছি। তবে এখন কাজ করছে, সার্ভার স্লো আর নেই।

আরও পড়ুন:

আইটি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অগ্রণী ব্যাংকের আইটি শক্তিশালীই ছিল। তবে আইটিপ্রধান শাহিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে সফটওয়্যার কেনাকাটায় অনিয়ম পাওয়ার পর ক্রয় কমিটির ক্ষমতা তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি আরও উদাসীন হয়ে পড়েন। সার্ভার হ্যাকের সঙ্গে তার (আইটিপ্রধান) উদাসীনতাকে দায়ী করেন অন্য কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আইটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহমান গাজী জাগো নিউজকে বলেন, বড় ধরনের কোনো হ্যাকের ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছু কর্মীর ই-মেইল হ্যাকড হয়েছিল। পরে আমরা তা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

এ বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুরশিদুল কবিরকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ইএআর/এসএনআর/এমএস