ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রিজার্ভে যোগ হলো ২ বি‌লিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫৩ পিএম, ২৭ জুন ২০২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের দেওয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মা‌র্কিন ডলার (১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ছাড় করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, বিশ্বব্যাংক ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) বি‌ভিন্ন আর্থিক সহায়তা ঋণের আরও ৯০ কো‌টি ডলার পে‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ।

বৃহস্প‌তিবার (২৭ জুন) রাতে দুই বিলিয়ন বা ২০১ কো‌টি ডলা‌রের ঋণ সহায়তার অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ বিষয়ে জানান, ২৬ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল মতে গ্রস রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার ঋণ যুক্ত হওয়ায় বৃহস্প‌তিবার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ হিসা‌বে আছে প্রায় সা‌ড়ে ২১ বি‌লিয়ন ডলার।

গত সোমবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪.৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের তৃতীয় কি‌স্তি দেওয়ার অনুমোদন হয়। আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। আর তৃতীয় কিস্তির ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার আজ বৃহস্পতিবার যোগ হলো।

আরও পড়ুন

দেশের রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চেয়ে আবেদন করে ২০২২ সালের জুলাইতে। বিভিন্ন ধাপের আলোচনার শেষে ওই বছরের নভেম্বরে ঋণ চুক্তি অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। ২০২৩ সা‌লের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিনদিন পর প্রথম কিস্তি ছাড় করে সংস্থাটি। এর পর গত ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করা হয়।

সংস্থাটির সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা থাকলেও রিজার্ভ কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তাবায়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১১ কো‌টি ৫০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয় আইএমএফ।

ইএআর/এমএইচআর