ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | প্রকাশিত: ০৬:৪০ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

দেশে অবকাঠামো, বাণিজ্য, বিনিয়োগ প্রবাহ ও টেকসই অর্থায়ন আরও বেগবান করার ওপর জোর দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। ‘থ্রাইভ ইন বাংলাদেশ: অ্যাকশনেবল ইনসাইটস অ্যান্ড সল্যুশনস ফর কোরিয়ান বিজনেস’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।

রাজধানীর একটি হোটেলে সম্প্রতি আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে দেশের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র দূতাবাস, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ ব্যাংক ও কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (কেবিসিসিআই)।

অনুষ্ঠানে দেশে কোরিয়ার ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। অবকাঠামো, বাণিজ্য, বিনিয়োগ প্রবাহ ও টেকসই অর্থায়ন আরও বেগবান করার ওপর জোর দেন বক্তারা। দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার ওপর আলোচনা করা হয়। সংলাপের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নীতিনির্ধারক ও খাতসংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধিতে অবিরাম সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের চতুর্থ বৃহত্তম উৎস হিসেবে দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো ও উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে কোরিয়া। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এ দুই দেশের পারস্পারিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগে বৈচিত্র্য বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, কার্যকরভাবে বিনিময় হারের পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ ও অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর সমাধানের সুযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে টেকসই অর্জন ও বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতিনির্ভর দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে কোরিয়া।

আলোচনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সহযোগিতা, তহবিলনির্ভর প্রকল্প, কোরিয়ান সরকারের কাছ থেকে গৃহিত ঋণ এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের বিষয়গুলো এসেছে।

যদিও বাংলাদেশে শ্রমিক খরচ কম, কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির যুগে অন্যান্য দিকেও দেশটির সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশকে অবশ্যই ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে হবে। গুণগত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিডা’র নির্বাহী সদস্য (আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রচার) মোহসিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং ও বিডা’র বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত করা আমাদের লক্ষ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের পরিচালক আবু ছালেহ মুহম্মদ সাহাব উদ্দীন বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। কোরিয়ার একাধিক প্রতিষ্ঠান বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ সেমিনার আয়োজনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের করপোরেট কভারেজ বিভাগের প্রধান এনামুল হক বলেছেন, এই যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্য বিডা-এর ওয়ান-স্টপ প্ল্যাটফর্ম, বিশ্বব্যাংকের নীতি কাঠামোর সংস্কার এজেন্ডা এবং সম্মানিত গ্রাহকদের সহায়তায় একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাতসংশ্লিষ্টদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনকে বেগবান করা।

দেশের একটি প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

দেশে কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ গঠন করেছে কোরিয়া ডেস্ক। কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায় সহায়তার জন্য ব্যাংকটি কোরিয়ান ও ইংরেজি উভয় ভাষায় রচিত ‘ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি গাইড বই চালু করেছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কোরিয়ার গ্রাহকদের জন্য বাংলাদেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সাথে সুবিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি্র পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াতেও একটি শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এ লক্ষ্যে নগদ ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য পরিষেবা, সিকিউরিটিজ পরিষেবা, ডিজিটাল ব্যাংকিং, আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প অর্থায়নসহ অন্যান্য বিশেষায়িত অর্থায়ন সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক সহায়তা করে ব্যাংকটি।

এমআইএইচএস/জিকেএস