প্রাণ এর আম সংগ্রহ শুরু, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার টন
ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে প্রতিবছরের মতো চলতি মৌসুমেও আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের সর্ববৃহৎ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ।
১ জুন রাজশাহীর গোদাগাড়ী বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও নাটোরের একডালায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেড এর কারখানায় এই আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। চলতি বছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণ।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের (বিআইপি) অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার রোকনুজ্জামান রুবেল বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আম সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুরুতে গুটি এরপর আশ্বিনা আম সংগ্রহ করা হবে। আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম চলবে আগস্ট পর্যন্ত আমের সরবরাহ থাকা সাপেক্ষে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, চলতি বছর আমের ফলন অন্য সময়ের তুলনায় কম হয়েছে। এরপরও আমরা প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ক্রেতারা যেন উৎকৃষ্ট মানের পাল্পের ফ্রুট ড্রিংক কিংবা জুস খেতে পারে সেজন্য আমরা পণ্যের কাঁচামালকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। এজন্য আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চল থেকেই আমরা কাঁচামাল সংগ্রহ করছি।
তিনি আরও বলেন, কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিনে হাতের স্পর্শ ছাড়া সম্পূর্ণ অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে সংগৃহীত আমের পাল্পিং করা হচ্ছে। অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে কোনো রকম প্রিজারভেটিভ ছাড়াই পাল্প সংরক্ষণ হওয়ায় দুই বছর পর্যন্ত তা ব্যবহার উপযোগী থাকে এবং সংরক্ষিত পাল্প থেকে সারাবছর আমের জুস, ড্রিংক ও মাংগোবার উৎপাদন করা হয়। এ আম থেকে প্রস্তুতকৃত ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক ও জুস বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
জেডএইচ/জিকেএস