ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৮ এএম, ০৭ জুন ২০২৪

উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনা, এর উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনের পাশাপাশি এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্মার্ট প্রি-পেইড, স্মার্ট মিটার স্থাপন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ লাখ প্রি-পেইড, স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে। গ্রাহকসেবার মান উন্নয়নে বিল পরিশোধ, অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং নতুন সংযোগ কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা প্রচলনসহ সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থাকে স্মার্ট তথা আধুনিকায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনা, এর উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করছি৷

বিদ্যুৎ খাতের সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার প্রদান করে এর উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরই মধ্যে সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক শতভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রিড যুগোপযোগী করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম হিসেবে ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার (আইইপিএমপি) প্রণয়ন করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ) উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট-আওয়ার থেকে ৬০২ কিলোওয়াট-আওয়ারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে মোট সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ১৫ হাজার ২৪৬ সার্কিট-কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। মোট বিতরণ লাইনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার কিলোমিটার। বিদ্যুতের বিতরণ সিস্টেম লস ২০০৯ সালের ১৪.৩৩ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৭.৬৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসাবে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রমের আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ হতে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রিড আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত হতে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

এটি বাস্তবায়ন শেষে দুটি ইউনিটে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে, যা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলেও জানান মন্ত্রী৷

এনএস/এমকেআর