ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের আমানতে গতি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ৩০ মে ২০২৪

শরিয়াহভিত্তিক কিছু ব্যাংকে যে পরিমাণ আমানত জমা হচ্ছে, ঋণ বিতরণ বা বিনিয়োগ করছে তারচেয়ে বেশি। আবার ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা আমানত তুলে নিলেও এসব ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সম্মিলিতভাবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোয় আমানত বেড়েছে ৪ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। একই সময়ে ৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ বা বিনিয়োগ করেছে এসব ব্যাংক। এতে এক মাসের ব্যবধানে আমানতের চেয়ে ১ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা বেশি বিনিয়োগ হয়েছে এসব ব্যাংক থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর আমানতের চেয়ে ঋণের প্রবৃদ্ধির গতি ছিল বেশি। বর্তমানে শরিয়াহভিত্তিক বেশির ভাগ ব্যাংকের চলতি হিসাব ঘাটতিতে পড়েছে। পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে, গত ডিসেম্বর শেষে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোতে আমানত ছিল ৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। এর পরের মাস জানুয়ারির শেষে তা কমে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩০৪ কোটি টাকায় নেমে আসে। তবে ফেব্রুয়ারিতে আমানত কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৬ কোটি টাকায়। সে হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ৪ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা আমানত বেড়েছে ফেব্রুয়ারিতে।

এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। যা তার পরের মাস জানুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৩ কোটি টাকায়। আর ফেব্রুয়ারি শেষে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ আরও কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে জানুয়ারি মাসে মোট ১১ হাজার ৬২১ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকায়। একই সময়ে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণও কমে গেছে। এসব ব্যাংকের মাধ্যমে জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ১০ হাজার ৯১০ কোটি টাকার পণ্য। এর পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকায়। ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে জানুয়ারি পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার। তবে সেটি ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৮৯ কোটি টাকায়।

ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস