ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

মিরপুরে এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির ঈদের কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ২৪ মে ২০২৪

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে এখনো জমে উঠেনি রাজধানীর মিরপুরের মার্কেট ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউজগুলো। মার্কেট ও ফ্যাশন হাউজগুলোতে সবকিছু থাকলেও শুধু ক্রেতার অভাব রয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে মিরপুর সাড়ে ১১ ও ১২ নম্বরের মার্কেটগুলোতে ক্রেতার দেখা মেলেনি। বিক্রেতারা বলছেন, রোজার ঈদের পর টুকটাক বিক্রি করে টিকে আছেন। খরচ কমাতে কেউ কমিয়েছেন কর্মচারী, কেউ একবেলা দোকান বন্ধ রাখছেন। কোরবানি ঈদের এক সপ্তাহ আগে বিক্রি কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

মিরপুর ১২ নম্বর হাজি কুজরত আলী মোল্লা সুপার মার্কেট দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় জামা-কাপড়, জুতা, কসমিটিকস, জুয়েলারির দোকান। সরেজমিনে সেখানে দেখা যায়, অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। অনেকে দোকানের বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে লাইট বন্ধ করে বসে আছেন।

মিরপুরে এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির ঈদের কেনাকাটা

দ্বিতীয় তলায় কাজী ফেব্রিকের স্বত্বাধিকারী আশরাফ বলেন, ডিওএইচএস, আলুব্দি ও স্বপ্ননগর এলাকার ক্রেতারা আসেন এখানে। সামান্য কিছু বিক্রি হয় প্রতিদিন। কোনো মাসে লাভ হয়, কোনো মাসে হয় না। এভাবে চলছে। কর্মচারী নেই, তুলনামূলক খরচ কম।

তিনি বলেন, এ মার্কেটে ৬ বছর ধরে ব্যবসা করি। রোজায় শেষ ১০-১৫ দিন বেচাকেনা হয়। আর কোরবানির ঈদে সবাই গরু নিয়েই ব্যস্ত থাকে। শেষ এক সপ্তাহে কিছুটা বেচাকেনা হয়।

মার্কেটের তৃতীয় তলায় নাজনীন নামে একজন বিক্রয়কর্মীকে দোকানের লাইট বন্ধ করে মোবাইল চালাতে দেখা যায়। কথা হলে নাজনীন বলেন, শুক্রবার সকালে ক্রেতা আসে কম। বিকেলে বা সন্ধ্যার পর ক্রেতার চাপ কিছুটা বাড়ে। দোকান চালু রেখেছি না রাখার মতোই।

মিরপুরে এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির ঈদের কেনাকাটা

মার্কেটে কথা হয় সজীব নামে একজন চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, শুক্রবার সময়ে পেয়েছি। মশারি কিনতে এসেছিলেন। এ মার্কেট প্রায় সময় ফাঁকা থাকে।

একই চিত্র দেখা যায়, মিরপুর ১২ ও সাড়ে ১১ নম্বরের বিভিন্ন মার্কেটে। সাড়ে ১১ নম্বরের রংধনু মার্কেটে জুতার ব্যবসা করেন ফজলু মিয়া। তিনি বলেন, এবার রোজায়ও ভালো বেচাকেনা হয়নি। রোজার আনা জুতা এখনো বিক্রি করছি। কোনোদিন ৩-৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়, কোনোদিন দিন এক টাকাও বিক্রি হয় না। তাই খরচ কমাতে কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়েছি।

এসএম/এমএএইচ/এমএস