টানা নয় কার্যদিবস পতনে শেয়ারবাজার
দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিকভাবে দরপতন চলছেই। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। এর মাধ্যমে টানা নয় কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য সূচক পজিটিভ হলেও তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দরপতনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষে হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩১২ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০৮ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ১৪ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারি, বেস্ট হোল্ডিং, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড এবং অ্যাকটিভ ফাইন।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৫৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৭টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ১ লাখ টাকা।
এমএএস/এমএএইচ/জেআইএম